ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

চাকরি ও বিনিয়োগের আশায় ভারতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬২১ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০১০
চাকরি ও বিনিয়োগের আশায় ভারতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

ব্যাঙ্গালোর: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বহুল আলোচিত ভারত সফর বুধবার শুরু করেছেন। ভারতের তথ্যপ্রযুক্তির সূতিকাগার ব্যাঙ্গালোরে তিনি প্রথম পরিদর্শনে যান।



ক্যামেরনের ভারত সফরের লক্ষ্য, বিনিয়োগের পথ তৈরি করা, চাকরিক্ষেত্র সৃষ্টি করতে বাণিজ্য বাড়ানো এবং মন্দা পরবর্তী সময়ে ব্রিটেনের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার। গত মাসে ক্যামেরনের আফগানিস্তান সফরটা বাদ দিলে এশিয়ায় এটাই তাঁর প্রথম সফর।

ব্যাঙ্গালোরে একটি ভাষণে তিনি ঘোষণা করেন, “আমি চাই এর মাধ্যমে একটি সম্পর্ক গড়ে উঠুক। এর ফলেই আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি উপরের দিকে এবং বেকারত্বের হার নিচের দিকে চালিতে হবে। ”

ক্যামেরন বলেন, “হ্যাঁ, এটি একটি বাণিজ্য সফর। তবে আমি এটাকে চাকরির জন্য সফর হিসেবেই দেখতে চাই। ”

ক্যামেরন মঙ্গলবার রাতে ভারতে পৌঁছেছেন। তাঁর সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন ব্রিটেনের অর্থনৈতিক মন্ত্রী জর্জ অসবোর্ন, পররাষ্ট্র মন্ত্রী উইলিয়াম হেইগ ও বাণিজ্য মন্ত্রী ভিন্স ক্যাবল। এছাড়া তাঁর সঙ্গে বিভিন্ন বাণিজ্য প্রতিনিধিও রয়েছেন।

ক্যামেরনের সফর শুরু হয়েছে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের শহর ব্যাঙ্গালোর থেকে। এখানে তিনি ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম সফটওয়্যার রপ্তানিকারী প্রতিষ্ঠান ইনফোসিস ও রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিন্দুস্তান অ্যারোনোটিকস লি. (এইচএএল) এর অফিস পরিদর্শন করেছেন।

এই সফরে তিনি ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠান বিএই সিস্টেমস এর একটি বাণিজ্য চুক্তির ওপর জোর দেবেন। ভারতের সঙ্গে বিএই এর ৬৫ কোটি মার্কিন ডলারের চুক্তি স্বাক্ষরের কথা রয়েছে। বিএই ভারতকে আরও ৫৭ প্রশিক্ষণ জেট বিমান সরবরাহ করবে। এর আগে, ২০০৪ সালে ভারত ৬৬টি একই ধরনের বিমান সরবরাহের অর্ডার দিয়েছিলো।

গাড়ি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান টাটা ও স্টিল প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান আরসেলর মিত্তাল সম্প্রতি ব্রিটেনে বিনিয়োগ করেছে। ক্যামেরন এটার ওপরও জোর দেন। একইসঙ্গে তিনি দৃঢ়ভাবে নিয়ন্ত্রিত ভারতের দেশীয় বাজারকে উন্মুক্ত করারও আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, “আমরা চাই, আপনারা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রতিবন্ধকতা কমিয়ে দেবেন। বিশেষ করে, ব্যাংকিং, বীমা, প্রতিরক্ষা উৎপাদন ও সরকারি সেবা খাতগুলো ভারত উন্মুক্ত করে দেবে এবং এটা থেকে লাভবান হবে। ” তিনি নতুন বিশ্বের উন্মুক্ত বাজার তৈরির ওপরও জোর দেন।

নয়া দিল্লিভিত্তিক জওয়াহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আরকে জৈন বলেন, “ক্যামেরনের এই সফর একটি পরিষ্কার বার্তা বহন করে: ভারতের সমর্থন লাভের চেষ্টা করছে ব্রিটেন। ”

বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৭৫৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০১০






বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।