ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

আফগানিস্তানে সোভিয়েত আক্রমণ

গোপন নথি ফাঁস করছে ব্রিটেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১০
গোপন নথি ফাঁস করছে ব্রিটেন

লন্ডন: আফগানিস্তানে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের আক্রমণ বিষয়ে গোপন দলিল প্রকাশ করতে যাচ্ছে ব্রিটেন। বৃহস্পতিবার মস্কোভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রিয়া নভোস্তি এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশ করে।



আফগানিস্তানে সোভিয়েত ইউনিয়নের (রাশিয়া) আক্রমণ পশ্চিমা বিশ্বের জন্য কোনো চমক ছিল না। ব্রিটেনে বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হতে যাওয়া রাষ্ট্রীয় আর্কাইভের বিভিন্ন গোপন নথিতে এ কথা প্রচার করা হয়।

অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এসব সরকারি নথি ৩০ বছর গোপন রাখার পর প্রকাশ করা হচ্ছে।

আফগানিস্তানে ১৯৭৯ সালে সোভিয়েত সেনা মোতায়েন প্রসঙ্গে ব্রিটিশ কূটনীতিকদের লেখা বিভিন্ন শর্টহ্যান্ড রিপোর্ট ও চিঠি নিয়ে ২০টির উপর ফোল্ডার রয়েছে এখানে।

নথিগুলো প্রমাণ করে যে, পশ্চিমারা সোভিয়েত অভিযান সম্পর্কে অবগত ছিল। তবে এর উদ্দেশ্য সম্পর্কে  তাদের খুব স্বচ্ছ ধারণা ছিল না।

রিপোর্টে দেখা যায় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার এবং সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার ১৯৭৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর এক বৈঠকে কাবুলে সোভিয়েত সেনা মোতায়েন বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করছেন।

আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হাফিজুল্লাহ আমিনকে হত্যা করে সোভিয়েত স্পেশাল ফোর্সের তাজবেগ প্রাসাদ দখলের মাত্র ১০ দিন আগে এই বৈঠক হয়।

আফগানিস্তানে সোভিয়েত কর্মকা-ের সিআইএ রিপোর্ট লন্ডনকে সরবরাহ করার জিমি কার্টারের প্রস্তাবে একমত পোষণ করেছিলেন থ্যাচার।

ব্রিটিশ সরকার জোরালোভাবে সোভিয়েত আক্রমণকে দোষারোপ করে বলে প্রকাশিত রিপোর্টে দেখা যায়। থ্যাচার সোভিয়েত নেতা লিওনিদ ব্রেজনেভকে আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে একটি চিঠি লিখেছিলেন।

১৯৮০ সালের মাঝামাঝি সময়ে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, জার্মানি এবং ফ্রান্সের উচ্চপদস্থ কূটনীতিকরা প্যারিসে এক গোপন বৈঠকে আফগানদের সহায়তা দেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সোভিয়েত বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে সহায়তার জন্য আফগান জঙ্গিদের ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের প্রস্তাব দেন বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১০
টিবিএস/ আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।