ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

মানুষ দিবাস্বপ্নে কাটায় বেশির ভাগ সময়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১০
মানুষ দিবাস্বপ্নে কাটায় বেশির ভাগ সময়

মানুষ যতক্ষণ জেগে থাকে ততক্ষণ সে যা করছে তা নিয়ে চিন্তা করে বলে ভাবছেন? ভেবে থাকলে ভুল করবেন? নিজেকে জিজ্ঞেস করলেই উত্তরটা পাওয়া যাবে।

মহা কর্মব্যস্ত মানুষও তার হাতের কাজটি নিয়ে না ভেবে বরং দিনের অর্ধেকটা সময় দিবা স্বপ্ন দেখেই কাটিয়ে দেন।

আইফোনের সাহায্যে করা একটি মার্কিন গবেষণা এ তথ্য জানাগেছে।

দুই হাজার ২০০শ’রও বেশি মানুষ মোবাইল ফোনে ছাড়া আবেদনপত্র ডাইনলোড করে উত্তর দেন। এর ভিত্তিতে দিন-রাতের বিভিন্ন সময় তাদের চিন্তা-ভাবনার ধরন জরিপ চালিয়ে দেখা হয়।

আর বিজ্ঞান বিষয়ক এ গবেষণায় বলা হয় যে এমনকি জরুরি কাজের সময়ও দিনের ৩০ শতাংশ সময় দিবাস্বপ্ন দেখে কাটিয়ে দেন অধিকাংশ মানুষ।

এ ধরনেরই আরেকটি জরিপের ভিত্তিতে যুক্তরাজ্যের এক বিশেষজ্ঞ বলেন যে মানুষের মন খুব সহজেই বিপ্তি হয়ে পড়ে।

হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের জন্য একটি কার্যকরী গবেষণা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে আইফোনকে।

এখানে অংশগ্রহণকারীরা তারা কি করছেন, তালিকা থেকে তা চিহ্ণিত করার ব্যাপারে সম্মত হন এবং এতে তিনি আনন্দিত বা দুঃখিত, এ বিষয়েও তথ্য দেন।

অংশগ্রহণকারীদের উত্তরগুলো একত্রিত করার পর গবেষকরা জানতে পারেন যে দিনের বেলা মানুষের মন কিভাবে এদিক সেদিক ঘুরে বেড়ায়।

দুই লাখ ৫০ হাজার গবেষণা ফলাফল একত্রিত করার পর গবেষকরা এ সিদ্ধান্তেই উপনীত হন যে জেগে থাকার ৪৬ দশমিক ৯ শতাংশ সময়ই মানুষের মন বিপ্তি থাকে।

এ গবেষণার একজন গবেষক ড. ম্যাথু কিলিংসওয়ার্থ বলেন, ‘মানুষের মনের বিপ্তি চিন্তা তার আর সব কাজকে ছাড়িয়ে গেছে। ’

তিনি আরও বলেন, ‘লণীয়ভাবে আমাদের মানসিক জীবন ব্যাপকভাবে বিস্তৃত’।

দিনের বিভিন্ন সময় মানুষের মন যখন বিপ্তি হয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন চিন্তায় মগ্ন থাকে, এর সঙ্গে মানুষের সুখী হওয়ার প্রবণতার সংযোগ খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানিরা।

কাজের সময় যাদের মন বেশি বিপ্তি থাকে তারা অসুখী হওয়ার বোধের কথাই বেশি উল্লেখ করেন বলে জানা যায়।

শরীরচর্চা, গল্প করা বা প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটানোর সময় মানুষ বেশি সুখী বোধ করে বলে জানায়। অন্যদিকে বিশ্রাম নেওয়া, কাজ করা এবং কম্পিউটার ব্যবহারের সময় মানুষ অসুখী বোধ করে বলে জানা গেছে।

বিপ্তি চিন্তার সঙ্গে মানুষের সুখী-অসুখী থাকার বিষয়টি জড়িত বলে ড. কিলিংসওয়ার্থও স্বীকার করেন।

তবে বিপ্তি চিন্তা মানুষের অসুখী বোধের কারণ না ফলাফল, গবেষণায় এটা এখনও অপ্রমাণিতই থেকে গেছে।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৬৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad
welcome-ad