ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের বোমা হামলার পর বিভিন্ন আরব দেশ দ্রুত প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। খবর বিবিসির।
ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে পারমাণবিক আলোচনায় মধ্যস্থতা করছিল ওমান। দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের হামলার প্রতি গভীর উদ্বেগ ও কঠোর নিন্দা জানিয়েছে। গালফের এই সুলতানাত বলেছে, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের হামলার ফলে নিন্দার পাশাপাশি গভীর উদ্বেগ জানাচ্ছি।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ নিরাপত্তা সম্পর্কে থাকা সৌদি আরব ইরানের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের নিন্দা জানিয়ে বলেছে, আমরা সবাকে ধৈর্য ধারণ করার আহ্বান জানাচ্ছি এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অত্যন্ত সংবেদনশীল এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক সমাধানের জন্য প্রচেষ্টা বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করছি।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সতর্ক করে দিয়েছে যে, বর্তমান বিপজ্জনক উত্তেজনা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে। আমরা আশা করি সব পক্ষ এই সময় বুদ্ধিমত্তা ও ধৈর্য প্রদর্শন করবে।
মিশর সতর্ক করেছে, এই অঞ্চলে বিশৃঙ্খলা ও উত্তেজনা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। রাজনৈতিক সমাধান ও কূটনৈতিক আলোচনা ছাড়া সংকট থেকে উত্তরণের কোনো বিকল্প নেই।
লেবাননের রাষ্ট্রপতি জোসেফ আউন বলেছেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় বোমাবর্ষণ উত্তেজনার মাত্রা বৃদ্ধি করেছে এবং এটি নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে, যা একাধিক দেশ ও অঞ্চলে প্রভাব ফেলবে।
১৩ জুন ইরানে হামলা চালায় ইসরায়েল। পরে ইরান ইসরায়েলে পাল্টা হামলা চালায়। এতদিন দুই দেশের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলা চলছিল। সবশেষ এই সংঘাতে যুক্ত হলো যুক্তরাষ্ট্র।
আরএইচ