ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলাকে বৈশ্বিক নিয়ম-নীতি ও আন্তর্জাতিক আইনের ওপর বড় ধাক্কা হিসেবে দেখছেন তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক হাসান আহমাদিয়ান।
আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক নিয়মভিত্তিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে।
আহমাদিয়ান বলেন, ‘ইসরায়েল আগেও একাধিকবার ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়, যা আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) সনদের পরিষ্কার লঙ্ঘন। এখন যুক্তরাষ্ট্র একই কাজ করছে, আর তারা লঙ্ঘন করছে জাতিসংঘ সনদ। ’
তার ভাষায়, ‘সবকিছু এখন ভেঙে পড়ছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আইনি দায়িত্ব, জবাবদিহিতা বা নৈতিক অবস্থান—সবই ধ্বংসের পথে। ’
আহমাদিয়ানের মতে, ইরান এই হামলার জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের আঞ্চলিক ঘাঁটি ও সম্পদের ওপর আঘাত হানতে পারে, তবে তারা তা এমনভাবে করতে চাইবে যাতে সংঘাত আরও না বাড়ে কিংবা বড় ধরনের প্রাণহানি না হয়।
তিনি বলেন, ‘ইরান চায় না পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাক, তাই তারা সামরিক পদক্ষেপ পরিকল্পিতভাবে পরিচালনা করবে। ’
আঞ্চলিক নিরাপত্তার দিকটি তুলে ধরে তিনি জানান, ইরানের আশপাশে যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত ৫০টি সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। এসব ঘাঁটি থেকে হামলা চালাতে হলে সংশ্লিষ্ট দেশের অনুমতি লাগে, এবং এসব ঘাঁটির সক্ষমতাও সীমিত।
তিনি বলেন, ‘কাতারসহ উপসাগরীয় অনেক দেশের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক ভালো। তবে ইরান এসব দেশকে জানিয়ে দিয়েছে, যদি ইরানের ওপর হামলা হয়, তবে সেই হামলার উৎসে জবাব দেওয়া হবে। ’
আরএইচ