ইসরায়েলের ইরানে হামলার জন্য সিরিয়ার আকাশসীমা লঙ্ঘনের ঘটনাকে প্রকাশ্যে নিন্দা না জানানোয় সিরিয়ার নতুন সরকার দেশের অভ্যন্তরে ক্রমবর্ধমান সমালোচনার মুখে পড়েছে।
সিরিয়ার জনগণ দাবি করছে, দামাস্কাস যেন তাদের সম্প্রসারিত কূটনৈতিক সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে এই ধরনের লঙ্ঘন বন্ধ করার আহ্বান জানায়।
টানা পাঁচ দিন ধরে সিরিয়ার জনগণ তাদের আকাশে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান গর্জন এবং বিস্ফোরণের শব্দ শুনছে যা ইঙ্গিত দেয়, সিরিয়ার আকাশে ইরানি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থিত, বিশেষত সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোতে বাস্তবতা আরও ভয়ানক ও উদ্বেগজনক।
সিরিয়ার অনেক বিপ্লবীর দৃষ্টিতে এ দুটি দেশই শত্রু। দারআ প্রদেশের এক কর্মী ইমাদ আল-বাসিরি "মিডল ইস্ট আই"কে বলেন, ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের টুকরো বারবার আবাসিক এলাকায় পড়ে যাচ্ছে, যা ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। মানুষ অত্যন্ত আতঙ্কগ্রস্ত।
সিরিয়ার ভৌগলিক অবস্থান দেশটির আকাশকে এই প্রতিঘাতমূলক হামলা ও লড়াইয়ের ক্ষেত্র করে তুলেছে। বিশেষ করে দক্ষিণের কুনেইত্রা ও দারআ প্রদেশে—ইসরায়েল অধিকৃত গোলান মালভূমির কাছাকাছি—নিয়মিতভাবে এসব ধ্বংসাবশেষ মাটিতে পড়ে যাচ্ছে।
সিরিয়ার সরকার এ পর্যন্ত তাদের আকাশসীমা লঙ্ঘনের জন্য ইসরায়েলের বা ইরানের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিক নিন্দা জানায়নি।
এটি প্রতিবেশী ইরাকের পদক্ষেপের সঙ্গে স্পষ্টভাবে বিপরীত। ইরাক জাতিসংঘে একটি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করেছে, যেখানে তারা জানিয়েছে, ইসরায়েলি বিমান তাদের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে ইরানে হামলা চালিয়েছে।
সিরিয়ান নেটওয়ার্ক ফর হিউম্যান রাইটসের পরিচালক ফাদেল আবদুল ঘানি মিডল ইস্ট আই-কে বলেন, এখন পর্যন্ত সিরিয়ার প্রতিক্রিয়া সম্পূর্ণভাবে অপর্যাপ্ত। সিরিয়ার সরকারের উচিত জাতিসংঘ সনদের ৩৫ ও ৫১ অনুচ্ছেদের আওতায় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করা।
তিনি আরও বলেন, সরকারের উচিত আরব লিগ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে সমন্বয় করা, যাতে উভয় পক্ষের ওপর নজর রাখা যায় এবং একটি বিস্তৃত কৌশল তৈরি করা যায় যা সিরিয়ার জাতীয় স্বার্থকে সুরক্ষিত রাখবে।
এমএম