ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলায় ইরানে নিহতের সংখ্যা ১২৮ জনে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে প্রায় ৯০০ জন আহত হয়েছেন।
স্থানীয় সময় শনিবার দুপুর পর্যন্ত এই হিসাব দিয়েছে ইরানি গণমাধ্যমগুলো। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
তবে এ সংখ্যা নিয়ে ভিন্নমতও রয়েছে। বিভিন্ন ইরানি সংস্থা ও সংবাদমাধ্যম নিজেদের মতো করে ভিন্ন পরিসংখ্যান প্রকাশ করছে।
ব্রিটিশ সম্প্রচারমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, তাদের সাংবাদিকরা সরাসরি ইরানে প্রবেশ করতে না পারায় এসব তথ্য যাচাই করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া বিভিন্ন সংস্থার দেওয়া পরিসংখ্যান একে অপরের সঙ্গে মিলে গেছে কি না, তাও পরিষ্কার নয়।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন গতকাল জানায়, তেহরানে একটি ভবনে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৬০ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ২০ জন শিশু রয়েছে।
পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর জানিয়েছেন, সেখানে ৩১ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩০ জন ইরানি সেনা সদস্য এবং একজন ইরানি রেড ক্রিসেন্টের কর্মী ছিলেন।
পশ্চিম আজারবাইজান প্রদেশে একটি অ্যাম্বুলেন্সে ইসরায়েলি হামলায় দুজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইরানি রেড ক্রিসেন্ট।
জাতিসংঘে ইরানের প্রতিনিধি দুই দিন আগে বলেছিলেন, ইসরায়েলের হামলায় এ পর্যন্ত ৭৮ জন নিহত ও ৩২০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।
ইরানের সরকারি মুখপাত্র ফাতেমেহ মোহাজেরানি বলেন, গত তিন দিনে অন্তত ৩০ জন নারী ও শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। তবে তিনি সামগ্রিক নিহতের সংখ্যা জানাননি।
ইরানের জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তারা জানান, ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) অন্তত ১৮ সদস্য নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে আইআরজিসির মহাকাশ বাহিনীর প্রধান কমান্ডারও রয়েছেন, যিনি শুক্রবার ইসরায়েলের হামলায় প্রাণ হারান।
এ ছাড়া পৃথক হামলায় ইরানের অন্তত সাতজন পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী।
ইসরায়েল শুক্রবার ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। এরপরই পাল্টা হামলায় নামে ইরান। শনিবার রাতভর দফায় দফায় হামলা চলে দুই দেশের মধ্যে।
আজ রোববারও পাল্টাপাল্টি হামলা চলছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে হামলা হয়েছে। ইসরায়েল আবার দাবি করেছে, তারা গত এক ঘণ্টায় ২০টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে।
আরএইচ
