ইরানের মধ্যাঞ্চলীয় শহর ইসফাহানে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদরদপ্তর লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
ইসফাহানের নিরাপত্তাবিষয়ক ডেপুটি গভর্নর আকবর সালেহি হামলার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
হামলায় কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, সেটি মূল্যায়ন করা হচ্ছে বলে বলেও জানিয়েছেন ডেপুটি গভর্নর আকবর সালেহি।
এর আগে, শনিবার রাতে ইরানি গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছিল যে, তেহরানের নোবোনিয়াদ এলাকাতেও দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের স্থাপনাকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
এর আগে, ইরানিদের সতর্ক করে সামরিক স্থাপনাগুলোর আশেপাশের এলাকা ছাড়তে বলে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট স্থাপনাগুলোতে হামলা চালানো হবে বলে পার্সিয়ান ভাষায় সতর্কবার্তা পাঠায় আইডিএফ। নিরাপত্তার স্বার্থে সাধারণ মানুষকে ওই এলাকাগুলো ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
ইসরায়েল শুক্রবার ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। এতে ইরানের শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন কর্মকর্তা নিহত হন। এরপরই পাল্টা হামলায় নামে ইরান।
দেশটি প্রতিশোধ হিসেবে রাতভর ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। পাল্টা জবাবে ইসরায়েলও হামলা চালায় ইরানে। এভাবেই হামলা-পাল্টা হামলায় কেটেছে আরও একটি রক্তক্ষয়ী রাত। ইরানে ইসরায়েলের হামলা এবং পরে ইরানের আক্রমণে মধ্যপ্রাচ্যের আকাশজুড়ে ভয়াবহ উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
শনিবার রাতে ইরানের পাল্টা হামলায় ইসরায়েলের কমপক্ষে ১০ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা।
সূত্র: বিবিসি বাংলা
এসএএইচ