ইরানে ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তিনি বলেছেন, ‘ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকার এই অঞ্চলকে বিপর্যয়ের দিকে টেনে নেওয়ার চেষ্টা করছে।
এরদোয়ান বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে লক্ষ্য করে ইসরায়েলি দস্যুতা বন্ধ করতে হবে। আমাদের প্রতিবেশী ইরানের ওপর ইসরায়েলের আক্রমণ আন্তর্জাতিক আইনকে উপেক্ষা করে, এটা স্পষ্ট উসকানি ছাড়া আর কিছুই নয়। ’
তিনি বলেন, নেতানিয়াহু ও তার ‘গণহত্যা নেটওয়ার্কের’ আক্রমণ পুরো বিশ্বকে অস্থির করে রাখছে। তাদের এই আচরণ প্রতিরোধ করতে হবে। ইসরায়েল ইরানের ওপর আক্রমণের মাধ্যমে আমাদের অঞ্চল বিশেষ করে গাজাকে অত্যন্ত বিপজ্জনক পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’র আওতায় ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় ব্যাপক হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ৭৮ জন নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে তেহরান।
নিহতদের মধ্যে একাধিক শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও বিজ্ঞানী রয়েছেন। হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর প্রধান হোসেইন সালামি, সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি ও খাতাম-আল-আনবিয়া হেডকোয়ার্টারের প্রধান গোলাম আলি রাশিদ নিহত হন।
বার্তা সংস্থা তাসনিম জানিয়েছে, ইসরায়েলের এ হামলায় ইরানের ছয়জন পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন। তারা হলেন- আবদুলহামিদ মিনুচেহর, আহমদরেজা জুলফাগারি, সৈয়দ আমিরহোসেইন ফাকিহি, মোতলাবিজাদে, মোহাম্মদ মাহদি তেহরানচি ও ফেরেইদুন আব্বাসি।
এদিকে, ইরানে হামলার পর পাল্টা হামলায় শঙ্কায় ব্যাপক ব্যবস্থা নিয়েছে ইসরায়েল। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ইসরায়েল বিশ্বব্যাপী তার সব কূটনৈতিক মিশন বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে অবস্থিত ইসরায়েলি দূতাবাস এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
তথ্যসূত্র: মিডলইস্ট
এসএএইচ