ঢাকা, শুক্রবার, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৩ জুন ২০২৫, ১৬ জিলহজ ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ভারতে উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার ‘সম্ভাব্য’ কারণ যা জানা গেল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:০০, জুন ১২, ২০২৫
ভারতে উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার ‘সম্ভাব্য’ কারণ যা জানা গেল

ভারতের গুজরাটের আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় ২৪২ আরোহীর সবাই নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ। উড্ডয়নের পর পাঁচ মিনিট যেতে না যেতেই লোকালয়ে ভেঙে পড়ে উড়োজাহাজটি।

কী কারণে এমনটি ঘটল, তা এখনও স্পষ্ট নয়।  

তবে দুর্ঘটনার ভিডিও দেখে এক বিশেষজ্ঞের ধারণা, পূর্ণ উড্ডয়নের সময় পাখি আঘাত হেনেছিল উড়োজাহাজে। এতে করে জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি হারিয়ে সেটি ভূমিতে আছড়ে পড়ে।  

ভয়াবহ সেই দুর্ঘটনার ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গেছে, বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে উড্ডয়নের পর অনেকটা দুলতে দুলতে এয়ার ইন্ডিয়ার উড়োজাহাজটি এগিয়ে যাচ্ছে। এর কিছুক্ষণ পরই এটি নিচের দিকে নামতে থাকে। এরপর একটি ভবনের (মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেল) ওপর গিয়ে পড়ে এবং আগুন ধরে যায়। কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলীতে ছেয়ে যায় চারিদিক।  

সেই ভিডিওর বিশ্লেষণ করে বিমান চলাচলবিষয়ক বিশেষজ্ঞ সৌরভ ভাটনাগর সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, বিমানটি উড্ডয়ন করার সঙ্গে সঙ্গে সম্ভবত এটিতে কয়েকটি পাখি আঘাত হেনেছিল। এতে করে পূর্ণ উড্ডয়নের জন্য যে পরিমাণ শক্তির প্রয়োজন ছিল বিমানটি সেটি হারিয়ে ফেলেছিল। ফলে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও বিমানটি আর উপরের দিকে নিতে পারেননি পাইলট।

সৌরভ ভাটনাগর একজন সাবেক বৈমানিক। তিনি বলেন, ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে দারুণভাবেই প্লেনটি ফ্লাই করেছে, নিখুঁতই ছিল। কিন্তু ল্যান্ডিং গিয়ারটি ওপরে তোলার আগেই প্লেনটি নিচে নামা শুরু করে। এমনটি সাধারণত হয় যখন ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায় অথবা বিমান আকাশে থাকার সামর্থ্য হারিয়ে ফেলে।  

সৌরভ বলেন, প্রথমত মনে হচ্ছে, একাধিক পাখির ধাক্কায় দুটি ইঞ্জিনই বিকল হয়ে যায়। এতে করে পূর্ণ উড্ডয়নের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি হারিয়ে ফেলেছিল প্লেনটি।

তিনি আরও বলেন, প্লেনটি কিন্তু নিয়ন্ত্রিতভাবে নিচে নেমে আসে। পাইলট ‘মে ডে কল’ করেছিলেন। যার অর্থ ওই সময় জরুরি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। তদন্তে আসল কারণ বেরিয়ে আসবে।

বৃহস্পতিবার (১২ জুন) আহমেদাবাদের সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল বিমানবন্দর থেকে দুপুরে ওড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার মডেলের উড়োজাহাজ। এতে ২৪২ জন আরোহী ছিলেন। যার মধ্যে ২৩০ জন যাত্রী আর বাকি ১২ জন ছিলেন ক্রু। লন্ডনের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল উড়োজাহাজটি। কিন্তু ওড়ার পর পাঁচ মিনিটের মধ্যেই উড়োজাহাজটি বিমানবন্দরের অদূরে মেঘানি নগর আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হয়।

এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।