ঢাকা, সোমবার, ২১ বৈশাখ ১৪৩২, ০৫ মে ২০২৫, ০৭ জিলকদ ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

মার্কিন বাজারে ব্যবসা-কৌশল পাল্টে ফেলছে অ্যামাজনের চীনা প্রতিদ্বন্দ্বী ‘তেমু’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:৩৭, মে ৩, ২০২৫
মার্কিন বাজারে ব্যবসা-কৌশল পাল্টে ফেলছে অ্যামাজনের চীনা প্রতিদ্বন্দ্বী ‘তেমু’ ফাইল ছবি

ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কবাণে চীনা ই-কমার্স জায়ান্ট পিডিডি হোল্ডিংসের মার্কিন শাখা ‘তেমু’ তাদের মূল ব্যবসার ধরনই বদলে ফেলছে। সস্তা চীনা পণ্য আমদানি করে বিক্রি করার যে মডেল তাদের মার্কিন বাজারে এত জনপ্রিয় করেছিল, সেটি তারা এখন পুরোপুরি বাদ দিয়ে দিচ্ছে।

 

এর বদলে তেমু এখন থেকে শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিক্রেতাদের পণ্য বিক্রি করবে। অর্থাৎ সরাসরি চীন থেকে আমদানি করে আর কোনো পণ্য তারা মার্কিন ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করবে না।  

তেমুর এই ঘোষণা এসেছে ঠিক সেই দিনেই (২ মে), যেদিন ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন শুল্ক নীতি কার্যকর হয়েছে। নতুন নিয়মে, চীন ও হংকং থেকে আগত স্বল্প মূল্যের পণ্যেও এখন থেকে ১৪৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক দিতে হবে, যা আগে ‘ডি মিনিমিস’ নীতির আওতায় ‘৮০০ ডলারের কম’ মূল্যের চীনা পণ্য হিসেবে শুল্কমুক্ত ছিল। শুধুমাত্র স্মার্টফোনের মতো কিছু পণ্য এই শুল্কের বাইরে ছিল।

ফলে নতুন করে আরোপিত শুল্কের বোঝা এড়ানো এবং মার্কিন বাজারে টিকে থাকতে এই কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ইতিমধ্যেই তারা যুক্তরাষ্ট্রের বিক্রেতা খোঁজা ও যুক্ত করা শুরু করেছে।

তেমু জানাচ্ছে, এই পরিবর্তনের উদ্দেশ্য হলো স্থানীয় বিক্রেতাদের গ্রাহকদের কাছে পৌঁছাতে সাহায্য করা ও তাদের ব্যবসা বাড়ানো। এছাড়াও এটি সেবার মান উন্নত করার প্রচেষ্টা বলেও জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

তেমু আগে এসব শুল্ক গ্রাহকদের ওপর চাপিয়ে দিয়েছিল– অর্থাৎ চেকআউটের সময় বাড়তি ফি যুক্ত করা হতো। একইভাবে, ফাস্ট-ফ্যাশন প্ল্যাটফর্ম শেয়েনও পণ্যের দাম ৩০০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছে।

বেশিরভাগ চীনা সরবরাহকারী এখনো শুল্ক নিজেরা বহন করতে রাজি নয়, ফলে খুচরা বিক্রেতারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তা ও ব্যয়বৃদ্ধির মধ্যে। তবে তেমু যেহেতু এবার পুরো ব্যবসার কাঠামো বদলে ফেলেছে, এখন দেখার বিষয় অন্য চীনা প্ল্যাটফর্মগুলো একই পথ অনুসরণ করে কিনা।

এদিকে এ সপ্তাহেই অ্যামাজন এক নাটকীয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি এখন থেকে পণ্যের দামের সঙ্গে শুল্ক আর আলাদাভাবে দেখাবে না। হোয়াইট হাউস থেকে এ নিয়ে আপত্তি জানানো হলে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই নাকি জেফ বেজুজ-এর সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেন।

এই ঘটনায় মনে হচ্ছে অ্যামাজনের মত ওয়ালমার্ট অথবা টার্গেটের মত প্রতিষ্ঠানগুলোকেও একই ভাবে রাজনৈতিক চাপে পড়তে হতে পারে। যেখানে পণ্যের বাড়তি খরচের বোঝা 
সবটা না হলেও কিছুটা নিজেদের বহন করতে হতে পারে, যাতে সাধারণ ক্রেতারা প্রভাবিত না হন।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

এমএম
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।