ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২, ০১ মে ২০২৫, ০৩ জিলকদ ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

কাশ্মীরে হামলায় পাকিস্তানি জড়িত থাকার দাবি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:৩১, এপ্রিল ২৩, ২০২৫
কাশ্মীরে হামলায় পাকিস্তানি জড়িত থাকার দাবি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের পর্যটন এলাকা পহেলগাঁওয়ে প্রাণঘাতী এক হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা করছে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী। হামলার পেছনে কারা ছিল, তাদের পরিচয় ও উদ্দেশ্য এখনও পুরোপুরি পরিষ্কার নয়।

এ প্রসঙ্গে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বুধবার (২৩ এপ্রিল) নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্রে দাবি করেছে, হামলায় অন্তত সাতজন অংশ নেয়। এদের মধ্যে চার থেকে পাঁচজন পাকিস্তানি নাগরিক বলে ধারণা করা হচ্ছে। সূত্রগুলো জানায়, হামলাকারীদের মধ্যে কয়েকজন উর্দু ভাষায় কথা বলছিলেন, এবং ভাষার উপভাষাগত ধরণ দেখে তারা পাকিস্তানের নির্দিষ্ট অঞ্চল থেকে এসেছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

নিরাপত্তা সূত্রের এক কর্মকর্তা বলেন, তাদের উর্দুর উচ্চারণ ও কথাবার্তায় বোঝা যায়, তারা পাকিস্তানের কোনো বিশেষ এলাকার বাসিন্দা। এ ছাড়া অন্তত দুজন স্থানীয় কাশ্মীরি যুবকও তাদের সহায়তা করেছে বলে আমাদের ধারণা। তবে তারা কাশ্মীরের কোন অংশের, তা এখনো নিশ্চিত নয়।

এদিকে হামলার দায় স্বীকার করেছে দ্য রেসিসটেন্ট ফ্রন্ট (টিআরএফ) নামের একটি অখ্যাত সশস্ত্র গোষ্ঠী, যারা ২০১৯ সালের পর থেকে কাশ্মীরে সক্রিয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক পোস্টে সংগঠনটি হামলার দায় নেয়।

হামলার একদিন পর পাকিস্তান সরকার এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা আসিফ স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, কাশ্মীরের সাম্প্রতিক হামলার সঙ্গে পাকিস্তানের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এটি একটি অভ্যন্তরীণ বিষয়। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে— যেমন নাগাল্যান্ড, মণিপুর, ছত্রিশগড় এবং কাশ্মীরে বহুদিন ধরে বিদ্রোহ চলছে, যা মূলত স্থানীয় জনসংখ্যার ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। এসব ঘটনাকে বিদেশি হস্তক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত করা ভুল।

খাজা আসিফ আরও দাবি করেন, কাশ্মীরে সংখ্যালঘু মুসলিম, খ্রিস্টান ও বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর ওপর যে নিপীড়ন চালানো হচ্ছে, সেই নিপীড়নের জবাবে এ ধরনের প্রতিরোধ দেখা দিচ্ছে। তার মতে, মানুষ যখন দীর্ঘ সময় ধরে অধিকার বঞ্চিত থাকে, তখন প্রতিক্রিয়া দেখানো স্বাভাবিক।

ভারত দীর্ঘদিন ধরেই দাবি করে আসছে, কাশ্মীরে চলমান বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতার পেছনে পাকিস্তানের সক্রিয় মদদ রয়েছে। তবে ইসলামাবাদ বরাবরই সে অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২৫
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।