ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

ফ্রান্সে ধর্মঘট: কঠোর অবস্থানে সারকোজি ও শ্রমিক সংগঠনগুলো

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১০
ফ্রান্সে ধর্মঘট: কঠোর অবস্থানে সারকোজি ও শ্রমিক সংগঠনগুলো

প্যারিস: বিক্ষোভরত আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে ফ্রান্সের পুলিশ একটি প্রধান তেল শোধনাগারের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করলে শুক্রবার উভয় পরে মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। খবর বিবিসি’র।



পূর্ব প্যারিসের গ্রাঁপুই শোধনাগার নামের ওই স্থাপনাটির ভিতরে দুই জন আহত হয়। ১০ দিন ধরে অবরোধ করে রাখা ১২টি শোধনাগারের মধ্যে এটি একটি ।

সরকার ও শ্রমিক সংগঠনগুলো উভয়ই কঠোর অবস্থানে রয়েছে। এখনো পর্যন্ত কোনো পরেই পিছু হটার লক্ষণ নেই।

প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজি চলতি সপ্তাহে অবরোধ প্রত্যাহার করার আহ্বান জানায়। এই অবরোধের ফলে হাজার হাজার পেট্রোল স্টেশনে তেলের পরিমাণ শূন্যের কোঠায় গিয়ে ঠেকেছে।

এদিকে, অবসরের বয়সসীমা ৬০ থেকে ৬২ করার সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শ্রমিক সংগঠনগুলো আরও দুইদিন ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়া আহ্বান জানিয়েছে। একইসঙ্গে শ্রমিকদের দাবি ৬৫ থেকে ৬৭ বছর বয়সেই পূর্ণাঙ্গ অবসরভাতা দিতে হবে।

বৃহস্পতিবারই অবসরভাতা সংস্কার বিলের চূড়ান্ত ভোট গ্রহণের দিন ধার্য ছিলো।

শুক্রবার প্রথম প্রহরেই রাজধানীর ৫০ কিলোমিটার দূরের গ্রাঁপুই শোধনাগারের দিকে এগিয়ে যায় পুলিশ বাহিনী। সারা দেশের পেট্রল স্টেশনগুলো জ্বালানি শূন্য হয়ে যাওয়ায় এ সপ্তাহের প্রথমে কর্তৃপক্ষকে অবরোধ ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দেন প্রেসিডেন্ট সারকোজি।

অবসরভাতা সংস্কার বিলে সিনেটের পরবর্তীতে ভোট দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

এর দু’দিন আগে সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ষষ্ঠবারের মতো সারা দেশে লাখ লাখ জনগণ জাতীয় ধমর্ঘটে অংশ নেয়। এসময় অবসরে যাওয়ার সর্বনিম্ন বয়স ৬০ থেকে ৬২ পর্যন্ত করার দাবি জানানো হয়। বিক্ষোভ সমাবেশে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ থেকে শিক্ষার্থীরাও অংশ নেয় ও পুলিশের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।

দক্ষিণের কিছু অঞ্চলের তেল শোধনাগার অবরোধ করে রাখা প্রতিবাদকারীদের ছত্রভঙ্গ করার নির্দেশ দেন প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজি। একইসঙ্গে এ সংস্কার বাস্তবায়ন করাসহ ফ্রান্সের জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য আইন পাশ করার অঙ্গীকারও করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার রাতে সংসদের উচ্চকক্ষ এ সংস্কার বিলে ভোট দেবে বলে ধারণা করা হয়। কিন্তু বড় আকারের প্রতিবাদের চাপের মুখে আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তবে এমনকি আগামী সপ্তাহে এ বিল পাস হলেও তারা প্রতিবাদ চালিয়ে যাবে বলে স্থানীয় গণমাধ্যমকে শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা জানান।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad