ঢাকা, রবিবার, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ১২ মে ২০২৪, ০৩ জিলকদ ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

যুদ্ধবিরতি না হলে গাজায় আরও শিশু প্রাণ হারাবে: সেভ দ্য চিলড্রেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২৩
যুদ্ধবিরতি না হলে গাজায় আরও শিশু প্রাণ হারাবে: সেভ দ্য চিলড্রেন

ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সংগঠন হামাসকে নিধনে যে ‘যুদ্ধ’ শুরু করেছে ইসরায়েল সেটি বন্ধ না হলে অবরুদ্ধ গাজায় আরও শিশু প্রাণ হারাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন।

সংস্থাটির মধ্যপ্রাচ্য-উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলের গ্লোবাল মিডিয়া ম্যানেজার সোরায়া আলি আল জাজিরাকে এ আশঙ্কার কথা জানান।

তিনি বলেন, যদি সব পক্ষ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত না হয় গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধে আরও শিশু মারা যাবে।

সেভ দ্য চিলড্রেনের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ২০১৯ সালের পর চলতি বছরই সবচেয়ে মারাত্মক সময় কাটাচ্ছে গাজা। অঞ্চলটির পরিস্থিতি গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। হাজারো শিশু প্রাণ হারিয়েছে। যুদ্ধবিরতি সম্মত না হওয়া পর্যন্ত এটি চলতেই থাকবে।

আমরা সবাই একমত যে, গাজায় প্রতিটি বিমান হামলা ও প্রতিটি বুলেট একটি শিশুর নিরাপত্তা কেড়ে নিচ্ছে। তাদের কাছে আমরা ঋণী। যুদ্ধবিরতি ও আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের নিয়মগুলো সব পক্ষকেই মেনে চলতে সম্মত হওয়া প্রয়োজন।

শিশুদের নিরাপত্তা ও অধিকার সংক্রান্ত বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কাজ করা একটি আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (এনজিও) জানিয়েছে, গত চার বছর ধরে গাজা উপত্যকায় যত শিশু ও অপ্রাপ্তবয়স্ক নিহত হয়েছে, চলতি বছর তার চেয়ে বেশি নিহত হয়েছে। গত তিন সপ্তাহে আমরা তা দেখেছি।

সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, গত ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত একুশ দিনে গাজায় অন্তত ৩ হাজার ৩২৪ শিশু ও কিশোর-কিশোরী নিহত হয়েছে। পশ্চিম তীরে এ সংখ্যা ৩৬। গাজায় নিখোঁজ রয়েছে প্রায় ১ হাজার শিশু। গত তিন সপ্তাহ ধরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় আহত হয়েছে ৬ হাজারেরও বেশি শিশু।

জাতিসংঘের ইউএন সেক্রেটারি-জেনারেল অন চিলড্রেন অ্যান্ড আর্মড কনফ্লিক্ট প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে সেভ দ্য চিলড্রেন জানিয়েছে, ২০২২ সালে গাজা ও পশ্চিম তীর অঞ্চলে ২ হাজার ৯৮৫ জন শিশু ও অপ্রাপ্তবয়স্ক নিহত হয়েছিল। ২০২১ সালে নিহতের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৫১৫ জন। ২ হাজার ৬৭৫ জন প্রাণ হারিয়েছে ২০২০ সালে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২৩
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।