ঢাকা, রবিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

কেন গঠিত হলো ‘বিশ্ব জৈব জ্বালানি জোট’, কারা আছে এতে?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৩
কেন গঠিত হলো ‘বিশ্ব জৈব জ্বালানি জোট’, কারা আছে এতে?

ভারতে জি-২০ আসর থেকে শনিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে পথচলা শুরু করল গ্লোবাল বায়োফুয়েলস অ্যালায়েন্স বা ‘বিশ্ব জৈব জ্বালানি জোট’। মোট ১৯টি দেশ এবং ১২টি বৈশ্বিক সংস্থা এই জোটে শামিল হয়েছে বলে জানা গেছে।

ভারত ছাড়া কোন কোন দেশ আছে এই জোটে? কী হবে এই জোটের আসল কাজ?

হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়া এবং দূষণের জেরে জলবায়ু পরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে এই জোটের লক্ষ্য হবে জৈব জ্বালানি সরবরাহ এবং উৎপাদনের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক স্তরে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানো এবং বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যিকভাবে জৈব জ্বালানি খাতে প্রযুক্তিগত উন্নয়নে একে অপরকে সাহায্য করা।

জৈব জ্বালানি জোটের মূল কারিগর ভারত, যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিল। তাছাড়া আর্জেন্টিনা, বাংলাদেশ, ইতালি, মরিশাস, দক্ষিণ আফ্রিকা, সংযুক্ত আরব আমিররাতসহ মোট ১৯টি দেশ আছে এই জোটে। কানাডা ও সিঙ্গাপুর এই জোটের পর্যবেক্ষক সদস্য। এই জোটের ১৯টি দেশের মধ্যে সাতটি জি-২০ গোষ্ঠীভুক্ত, চারটি দেশ জি-২০ আমন্ত্রিত এবং আটটি দেশ বাইরের।

এদিকে বিশ্বব্যাংক, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি), ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম, ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি, ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি ফোরাম, ইন্টারন্যাশনাল রিনিউয়েবল এনার্জি এজেন্সি ও ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অরগানাইজেশনের মতো মোট ১২টি বৈশ্বিক সংগঠন বা সংস্থা এই জোটে যোগ দিতে সম্মত হয়েছে।

এই জোট গঠন নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে (আগের টুইটার) একটি পোস্ট করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লেখেন, জোটের সূচনা একটি যুগান্তকারী মুহূর্ত। স্থায়িত্ব এবং পরিচ্ছন্ন শক্তির খোঁজে আমরা একসঙ্গে কাজ করব। আমি এই জোটের সব সদস্য দেশকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।

মোদি প্রস্তাব দেন, বিশ্বজুড়ে পেট্রোলে ২০ শতাংশ করে ইথানল মেশানো হোক। এর পাশাপাশি অন্যান্য মিশ্রণ নিয়ে গবেষণা ও কাজের জন্যও একজোট হওয়ার বার্তা দেন তিনি।  

এর আগে জি-২০ জ্বালানিমন্ত্রীদের সম্মেলনে ভাষণ রাখার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেছিলেন, ভারতে আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে সর্বত্র ২০ শতাংশ ইথানল মিশ্রিত পেট্রোল বিক্রি হবে। মোদির কথায়, আমাদের প্রযুক্তিগত ঘাটতি পূরণের উপায় খুঁজে বের করতেই হবে। পাশাপাশি জ্বালানি সরবরাহের বিষয়টিও সুনিশ্চিত করতে হবে।

এই পরিস্থিতিতে নতুন এই জোট গঠন ভারতের সেই পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করবে বলে মনে করা হচ্ছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৩
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।