ঢাকা, সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

মোদির ক্যারিশমার কারণেই দিল্লি ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়: মোমেন 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৩
মোদির ক্যারিশমার কারণেই দিল্লি ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়: মোমেন 

দিল্লিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে সংশয়ের মেঘ জমেছিল এর ঘোষণাপত্রকে ঘিরে । দিল্লি ঘোষণা গৃহীত না হলে তা হতো নরেন্দ্র মোদির জন্য বড় ধাক্কা।

ভারতের জন্য স্বস্তির খবর হলো সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধিরা ঘোষণাপত্র অনুমোদন করেছেন। এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে পুতিনকে বলা মোদির সেই উক্তি ‘এটা যুদ্ধের যুগ নয়’।  

৩৭ পৃষ্ঠার ঘোষণাপত্রে ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবের কথাও তুলে ধরা হয়েছে।  

এই ঘোষণাপত্রের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবদুল মোমেন।

আবদুল মোমেন বলেন, এই সম্মেলনে কোনো ঘোষণা আসবে কিনা তা নিয়ে অনেক সন্দেহ ছিল। কিন্তু নরেন্দ্র মোদির গতিশীলতা ও ব্যক্তিগত ক্যারিশমার কারণেই এবারের সম্মেলনে ঘোষণাপত্র প্রকাশ হয়েছে এবং তা সর্বসম্মত ভাবে গৃহীত হয়েছে। আমি অবশ্যই ভারতীয় নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানাই যারা একটি চমৎকার কাজ করেছে।

এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে জানান কীভাবে নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সারাক্ষণ বিশ্ব নেতাদের সাথে দেখা করতে উত্সাহিত করেছিলেন। তিনি বলেন, আজ যখন আমাদের প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা) বসেছিলেন এবং তিনি (নরেন্দ্র মোদি) তাকে আসতে বলেছিলেন এবং বিশ্ব নেতাদের সাথে দেখা করতে বলছিলেন। বাইডেন সেখানে ছিলেন, ঋষি সুনক সেখানে ছিলেন এবং আপনাদের প্রধানমন্ত্রী আমাদের প্রমোট করেছেন, আমি তার হৃদ্যতা দেখে সত্যিই গর্বিত। খবর এএনআই।

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের মধ্যে দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে, আলোচনার মাধ্যমে আমাদের সমস্ত সমস্যা সমাধান করি. এটি একটি অনন্য দৃষ্টান্ত এবং এই সম্পর্ক বিশ্বের জন্য মডেল।

নরেন্দ্র মোদি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে তিস্তা ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা) যেভাবে বলেছেন, সব দ্বিপাক্ষিক সমস্যা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সাথে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা উচিত, তার মানে এখানে তিস্তা ইস্যুও অন্তর্ভুক্ত। শুধু তাই নয়, গঙ্গার বিষয়টিও আমরা উত্থাপন করেছি।  ২০২৬ সালে গঙ্গা চুক্তি শেষ হবে তাই এটিও নবায়ন প্রয়োজন। তিনি বলেছেন যে এই বিষয়গুলো নিয়ে কর্মকর্তারা আলোচনা করবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৩
এমএম
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।