ঢাকা, সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আন্তর্জাতিক

মিশরে লোকজনকে কেন মুরগির পা খেতে বলা হচ্ছে? 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২৩
মিশরে লোকজনকে কেন মুরগির পা খেতে বলা হচ্ছে? 

আরব দুনিয়ার সবচেয়ে জনবহুল দেশ মিশর রেকর্ড মুদ্রা সংকটে ভুগছে। দেশটিতে গত পাঁচ বছরের মধ্যে মুদ্রাস্ফীতি সর্বোচ্চ।

এই পরিস্থিতি দেশটিতে খাদ্যের দাম অনেক বেড়ে গেছে।  

দাম এতই বেড়েছে যে, অনেকে তাদের খাদ্য তালিকার প্রধান খাবার মুরগি কিনতে পারছে না। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গেল সোমবার প্রতি কেজি পোল্ট্রি মুরগির দাম বেড়ে ৭০ মিশরীয় পাউন্ডে দাঁড়িয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে মিশরের সরকার সে দেশের লোকেদের বলছে মুরগির পা খেতে বলছে। দেশটির ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশন ফর নিউট্রিশন লোকজনকে আহ্বান জানাচ্ছে মুরগির পা খেতে।

প্রতিষ্ঠানটি এক ফেসবুক পোস্টে গেল মাসে একটি তালিকা দিয়ে বলেছে, প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাদ্যের বিকল্প খুঁজছেন যা খরচ কমাবে? এই তালিকার শুরুতেই ছিল মুরগির পা ও গবাদি পশুর পা।  

মিশরীয়দের অনেকে শঙ্কায় রয়েছে এই ভেবে যে, সরকার নাগরিকদের সেসব খাদ্যের পরামর্শ দেবে, যেসব খাদ্য দেশের চরম দারিদ্র্যের প্রতীক। মিশরে মাংসের মধ্যে সবচেয়ে সস্তা হলো মুরগির পা। যদিও বেশিরভাগই খাদ্যের পরিবর্তে এটিকে বর্জ্য হিসেবেই বিবেচনা করে।  

মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মোহামেদ আল-হাসিমি তার চার লাখ অনুসারীর উদ্দেশে এক টুইটে লিখেছেন, আমরা মুরগির পায়ের যুগে প্রবেশ করছি। মিশরীয় পাউন্ডে ধস নেমেছে... ঋণে ডুবে যাচ্ছি।  

অনেকে সরকারের আহ্বান শুনেছে বলে মনে হয়। মুরগির পা খাওয়ার পরামর্শ দেওয়ার পর এর প্রতি কেজির দাম দিগুণ বেড়ে ২০ মিশরীয় পাউন্ডে দাঁড়িয়েছে।  

দেশটির কর্তৃপক্ষ বলছে, মিশরের লোকসংখ্যার ৩০ শতাংশ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। ২০১৯ সালে বিশ্ব ব্যাংক এক হিসাবে দেখায় ৬০ শতাংশেরও বেশি লোক হয় দরিদ্র না হয় দ্রারিদ্র্যের ঝুঁকিতে।  

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২৩
আরএইচ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।