ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

তথ্যপ্রযুক্তি

‘ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্য আইপিভি-৬ ভার্সন অপরিহার্য’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২২
‘ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্য আইপিভি-৬ ভার্সন অপরিহার্য’

ঢাকা: ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্য ইন্টারনেট প্রটোকল ভার্সন (আইপিভি)-৪ এর পরিবর্তে আইপিভি-৬ প্রচলন করা অপরিহার্য। এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যব্স্থা গ্রহণে সরকার বদ্ধপরিকর।

তিনি ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারসহ সংশ্লিষ্টদের এ ব্যাপারে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।  

শনিবার (১৫ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) আয়োজিত ‘আইপিভি-৬ রাউটিং ডিপ্লয়মেন্ট’ শীর্ষক এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।  

টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারীদের মধ্যে সুস্থ ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, লাইসেন্সহীন আইএসপিদের অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে না পারলে এ খাতের বিশৃঙ্খলা বন্ধ করা যাবে না। এ ব্যাপারে বিটিআরসি কাজ করছে। এ খাতে যেকোনো বিশৃঙ্খলা মেনে নেওয়া যায় না। উপজেলা, জেলা, বিভাগ ও জাতীয় পর্যায়ের জন্য আইএসপি লাইসেন্স গ্রাহক চাহিদার অনুযায়ী ইস্যু করার বিষয়টিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন। তিনি বিদ্যমান আইএসপি লাইসেন্সসমূহের পারফর্মেন্সের ভিত্তিতে লাইসেন্স আপগ্রেডের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হবে বলে সংশ্লিষ্টদের আশ্বস্ত করেন।  

মোস্তাফা জব্বার উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটকে ডিজিটাল বাংলাদেশ ও স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মহাসড়ক উল্লেখ করে বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা হয়েছে। দেশে বর্তমানে ৩৮৪০ জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহৃত হচ্ছে এবং ১৩ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। ২০০৮ সালে মাত্র সাড়ে সাত জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহৃত হতো এবং ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৮ লাখ।

ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় ইন্টারনেটকে এক নম্বর জরুরি হাতিয়ার আখ্যায়িত করে মন্ত্রী বলেন, করোনাকালে প্রমাণিত হয়েছে বাংলাদেশের মানুষ প্রযুক্তি ব্যবহারে পিছিয়ে থাকে না। এমনকি প্রত্যন্ত ও দুর্গম অঞ্চলে বসেও ইন্টারনেট ব্যবহার করে আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে হাজার হাজার ডলার আয় করছে।  

ইন্টারনেটের বর্ধিত চাহিদা মেটাতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ খুবই তৎপর উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা খুব শিগগিরই তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের সঙ্গে বাংলাদেশকে সংযুক্ত করতে যাচ্ছি। এর ফলে আমরা আরও ১৩২০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ পাব। এছাড়া পরে চতুর্থ সাবমেরিন ক্যাবলের সঙ্গে আমরা দেশকে সংযুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। এর অতিরিক্ত আরও তিনটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগের জন্য লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রী ডিজিটাল নিরাপত্তার প্রয়োজনে আইপিভি-৬ আপডেট করার জন্য দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

আইএসপিএবি সভাপতি ইমদাদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবদুর রহিম খান, অ্যাপনিক প্রশিক্ষক আবদুল আওয়াল, আইএসপিএবি সেক্রেটারি নাজমুল করিম ভূঞা প্রমুখ বক্তব্য দেন।

বক্তারা আইপিভি-৬ ভার্সনের প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন অত্যন্ত সময়োপযোগী একটি উদ্যোগ বলে উল্লেখ করেন। তারা এ ব্যাপারে দক্ষ মানবসম্পদের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২২
এমআইএইচ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।