ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

তথ্যপ্রযুক্তি

করোনা মোকাবিলায় ইজেনারেশনের এআই টুল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০২০
করোনা মোকাবিলায় ইজেনারেশনের এআই টুল

ঢাকা: কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় ‘বিটকরোনা’ নামক কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সম্পন্ন টুল চালু করেছে দেশীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ইজেনারেশন। ইজেনারেশনের তৈরি করা করোনাবট এবং এক্স-রে ইমেজ অ্যানালাইসিস টুল অধিকতর উন্নত উপায়ে ও দ্রুতগতিতে করোনা ভাইরাস শনাক্ত করতে পারে বলে দাবি প্রতিষ্ঠানটির।

সোমবার (২৭ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে এমনটাই দাবি করা হয়।

এতে বলা হয়, ব্যবহারকারী যাতে নিজেই কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য উপযুক্ত কি-না সেই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন সেজন্য ইজেনারেশন করোনাবটকে সেলফ-টেস্টিং টুলস হিসেবে তৈরি করা হয়েছে।

এটি ব্যবহারকারীকে নিজে থেকেই তাৎক্ষণিকভাবে আইসোলেশনে থাকতে উদ্ধুদ্ধ করে এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা যাতে রোগ শনাক্তকরণের আগে প্রাথমিক চিকিৎসায় বেশি সময় না দিয়ে, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সংকটপূর্ণ রোগীদের অধিক সময় দিতে পারেন সেটি নিশ্চিত করে। ব্যবহারকারীদের প্রশ্ন বুঝতে পারা এবং সেটির যথাযথ উত্তর দেওয়ার জন্য করোনাবটটিতে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ করা হয়েছে। বটটি ইংরেজি, বাংলা এবং বাংলা ভাষাকে ইংরেজি হরফে লেখা প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে।

এর পাশাপাশি, ইজেনারেশন মেশিন লার্নিং প্রযুক্তির মাধ্যমে এক্স-রে ছবি বিশ্লেষণী টুল তৈরি করেছে যা বুকের এক্স-রে ছবি দেখে কোভিড-১৯ শনাক্তকরণে কার্যকর পদ্ধতি হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। এই টুল ব্যবহার করে ব্যবহারকারীরা সুস্থ আছেন কি-না, মৃদু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত কি-না অথবা কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন কি-না সেটি জানা যাবে। ইজেনারেশন বিটকরোনা (http://beatcorona.egeneration.co/) ওয়েবসাইটে গিয়ে এক্স-রে ছবি আপলোড করলে টুলটি ফলাফল দেখাবে। এক্ষেত্রে দুটি মেশিন লার্নিং মডেল ব্যবহার করা হয়েছে, ফিড-ফরোয়ার্ড নিউরাল নেটওয়ার্ক এবং কনভোলিউশনাল নিউরাল নেটওয়ার্ক। এই মডেলগুলো ইতালি এবং ভারতের বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে সংগৃহীত ডেটা প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে প্রশিক্ষিত। এই এক্স-রে বৃহৎ স্ক্রিনিং প্রোগ্রামের মাধ্যমে সহজে ও দ্রুততম সময়ে করোনা ভাইরাস শনাক্ত করবে এবং এর ফলে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার হার সফলভাবে হ্রাস পাবে।

ইজেনারেশন গ্রুপের চেয়ারম্যান শামীম আহসান বলেন, ইজেনারেশন বিগত দুই বছর ধরে স্বাস্থ্যসেবা সফটওয়্যার ও অ্যানালিটিক্স নিয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করে আসছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও মেশিন লার্নিং প্রযুক্তির যে সক্ষমতা আমাদের তৈরি হয়েছে সেটি ব্যবহার করে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের এই সল্যুশনগুলো আমরা স্বল্প সময়ে তৈরি করতে পেরেছি। ইজেনারেশন থেকে করোনা ভাইরাস এর মতো মহমারি প্রতিরোধসহ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা ও সুস্থতার ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহারে আমরা বিনিয়োগ করে যাব এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পরিসরে এ ধরনের সেবা পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা খাতে আমরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবো বলে আশা রাখছি।

ইজেনারেশনের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) ন্যাচারাল লাঙ্গুয়েজ প্রেসেসিং এবং ব্লকচেইন বিভাগের প্রধান সাব্বির আরিফ সিদ্দিক বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে সরকার এবং আন্তর্জাতিক বাজারের জন্য মেশিন লার্নিং এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসছি। বাংলাদেশের সাধারণ জনগণও যেন এই সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সুবিধা ভোগ করতে পারে, ই-জেনারেশন বিটকরোনা- আমাদের সেই প্রচেষ্টারই অংশ।

আগ্রহীরা তাদের স্বাস্থ্যের অবস্থা যাচাইয়ে এবং বিস্তারিত জানতে বিট করোনার ওয়েবসাইটে (http://beatcorona.egeneration.co/) ভিজিট করতে পারেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০২০
এসএইচএস/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।