ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

তথ্যপ্রযুক্তি

উদ্ভাবনীর মাধ্যমে গ্রাহক সেবায় গুরুত্ব দিচ্ছে গ্রামীণফোন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২০
উদ্ভাবনীর মাধ্যমে গ্রাহক সেবায় গুরুত্ব দিচ্ছে গ্রামীণফোন

ঢাকা: গ্রাহকদের পরিবর্তিত চাহিদা মেটাতে আধুনিকায়ন ও উদ্ভাবনী সেবার ওপর গ্রামীণফোন গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন অপারেটরটির সিইও ইয়াসির আজমান। 

সোমবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর জিপি হাউজে গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

ইয়াসির আজমান বলেন, যাত্রার শুরু থেকে ব্যবসা সম্প্রসারণের মধ্য দিয়ে সরকারের চলমান ডিজিটাল বাংলাদেশ বির্নিমাণে যোগাযোগ প্রযুক্তির অংশীদার হিসেবে কাজ করে চলেছে গ্রামীণফোন।

যোগাযোগ প্রযুক্তির অংশীদার হিসেবে ডিজিটাল ইকোসিস্টেম বির্নিমাণের মাধ্যমে সহজ ও শক্তিশালী সমাধান উদ্ভাবন করে ডিজিটাল সেবার সর্বোচ্চ সুবিধা গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।  

ইয়াসির আজমান বলেন, গ্রামীণফোন সবসময়ই আন্তরিকভাবে বাংলাদেশের মানুষের কাছে সহজলভ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য সরকার ও অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করে চলেছে যেন সমাজের সর্বোস্তরে ডিজিটাল সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত করা যায়। বর্তমানে গ্রাহকরা প্রত্যাশা করে গ্রামীণফোনের কাছ থেকে আরও কার্যকরী যোগাযোগ সেবা, যেটি তাদের জীবনকে আরও সহজ করে তুলবে।
 
গ্রামীণফোনের সর্বমোট গ্রাহকের ৫৩.১ শতাংশ ইতোমধ্যেই ইন্টারনেট সুবিধা ব্যবহার করছেন, যেটি সামনে আরও বৃদ্ধি পাবে জানিয়ে তিনি বলেন, ইন্টারনেট ব্যবহার বৃদ্ধির এ হার গ্রামীণফোনের জন্য একদিকে অনুপ্রেরণামূলক অন্যদিকে অনেক বড় দায়িত্ব।
  
শুরু থেকেই সময়োপযোগী ও কৌশলগত বিনিয়োগ ধারাবাহিকতার মাধ্যমে নেটওয়ার্ক আধুরিকায়ন কাজ করে চলেছে গ্রামীণফোন। এরই ধারাবাহিকতায় পরিকল্পিত বিনিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশে ফোরজি ও এলটিই সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করে আইওটি এবং চতুর্থ শিল্পবিপ্লব ত্বরান্বিত করতে গ্রামীণফোন আইসিটি পোর্টফোলিও শক্তিশালীকরণে কাজ করছে।  

পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণমূলক সংস্থা, নীতি-নির্ধারক, ইকোসিস্টেম পার্টনার এবং শিল্পখাতের সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে ফাইভজি নীতিমালা প্রণয়ন অংশ নিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য পূরণে কাজ করছে অপারেটরটি।

দেশের আর্থ-সামাজিক প্রবৃদ্ধিতেও ভূমিকা রাখছে গ্রামীণফোন। যাত্রা শুরুর পর থেকে সরকারের কোষাগারে প্রতিষ্ঠানটি ৭৫ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা জমা দিয়েছে। ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠানটি ৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা জাতীয় কোষাগারে জমা দেয়। ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠানটির আয়ের প্রতি ১০০ টাকার মধ্যে ৫৯.২ টাকা কর, ভ্যাট, শুল্ক, লাইসেন্স/তরঙ্গ ফি ও রাজস্ব হিসেবে সরকারকে দিয়েছে।  

গ্রামীণফোন মনে করে সবার জন্য ইন্টারনেট গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু নিরাপদ ইন্টারনেট আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিষ্ঠানটি ইউনিসেফের সঙ্গে যৌথভাবে ৯ লাখ শিক্ষার্থীকে নিরাপদ ইন্টারনেট সম্পর্কে ইতোমধ্যে সচেতন করেছে।  

ইয়াসির আজমান বলেন, শিক্ষার্থীদের এ সংখ্যা বাড়ানোর মাধ্যমে দেশজুড়ে আরও বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থীকে সহায়তা করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।  

প্রতিষ্ঠানটি এ সংখ্যা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি দেশব্যাপী আরও শিশুদের সহায়তা করার পরিকল্পনা গ্রহণ করছে।  

সম্প্রতি উপকূলীয় মানুষ এবং মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা বৃদ্ধি ও তাদের জীবনমান উন্নয়নে গ্রামীণফোন গভীর সমুদ্রে তাদের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারিত করেছে। ফেরাটাম ও সৃজনীর সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে অপারেটরটির ডিভাইস ফাইন্যান্সিং কর্মসূচির মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলে নারীদের ডিজিটাল যোগাযোগ সুবিধা দিচ্ছে।  
 
আধুনিকায়নের পথে নিজেদের ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করে ইয়াসির আজমান বলেন, গ্রাহকদের উন্নতমানের সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে পণ্য ও সেবার আধুনিকায়ন করছে অপারেটরটি। বাংলাদেশের আইন, মানুষ ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে গ্রামীণফোন।  

সামাজিক ক্ষমতায়ন ত্বরান্বিত করা, অনলাইন নিরাপত্তা প্রচারণা এবং বাংলাদেশে সঠিকভাবে ব্যবসায়িক কার্যক্রম অনুশীলনে আমরা সরকারসহ অন্যান্য অংশীদারদের সঙ্গে আমাদের ধারাবাহিক কার্যক্রম চালিয়ে যাবো বলে যোগ করেন তিনি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২০
এমআইএইচ/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।