ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

তথ্যপ্রযুক্তি

ফাইভ-জি’র চমক: রোবট খেলছে ফুটবল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২০
ফাইভ-জি’র চমক: রোবট খেলছে ফুটবল

ঢাকা: প্রযুক্তির বিষ্ময়কর ভার্সন ‘ফাইভ-জি’। এই ফাইভ-জি সেবা চালু হলে প্রযুক্তি ব্যবহারে গতিময় হবে মানুষের জীবন। এ প্রযুক্তি মানুষের জীবনধারায় কেমন প্রভাব ফেলবে এবং প্রযুক্তি ব্যবহারে কতটা লাভবান হবে মানুষ, তাই দেখাচ্ছে একটি রোবট। হাতের ইশারায় রোবটটি খেলছে ফুটবল। আর এটিই এখন সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে।

এবারের ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলায় ফাইভ-জি’র পরীক্ষামূলক কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে রোবটটি। ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে রোবট দিয়ে ফুটবল খেলতে আসছেন অনেকেই।

মেলায় রোবটটি নিয়ে এসেছে হুয়াওয়ে। হুয়াওয়ের প্যাভেলিয়নে শিশু-কিশোরদের ভিড় বেশি হওয়ার কারণটি হচ্ছে, এই ‘হিউম্যানয়েড রোবট’। বিশেষভাবে নির্মিত রোবটটিকে যে কেউ নিজ হাতের ইশারায় ফুটবল খেলাতে পারে।

হুয়াওয়ের সিনিয়র সল্যুশন ম্যানেজার এসএম জুবায়ের আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, রোবটের সামনে একটি ক্যামেরা আছে, তার সামনে হাতের আঙ্গুল দেখালে সামনে এগোবে বা পেছাবে এবং ফুটবলে কিক করছে।

রোবট চালনার প্রযুক্তিগত দিক নিয়ে তিনি বলেন, আঙ্গুল দেখালে ডাটা যাচ্ছে কোর নেটওয়ার্কে, সেখান থেকে রোবটের সার্ভারে যাচ্ছে এবং রোবটের কাছে ফিরে আসছে।

‘কীভাবে ডাটা দ্রুত চলে যাচ্ছে এবং ফিরে আসছে, অর্থাৎ রিয়েল টাইম; ফাইভ-জি এত ফাস্ট, এটাই ফাইভ-জি’র চমক। ’

এছাড়াও দর্শনার্থীরা রিয়েল টাইম ভিআর (ভার্চুয়াল রিয়েলিটি) উপভোগ করছেন। প্লে-জোনে ফাইভ-জি ভিআর চোখে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই নিজেদের আবিষ্কার করছেন বরফের উপর স্কিইরত অবস্থায়।

রিয়েল টাইম ভিআর (ভার্চুয়াল রিয়েলিটি) উপভোগ করছেন একজন।  ছবি: বাংলানিউজ

হুয়াওয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ভিআর চোখে দিয়ে বরফের মধ্যে স্কেটিং করার অভিজ্ঞতা পাওয়া যাবে। এটা ফাইভ-জি নেটওয়ার্কেই সম্ভব, কারণ ফাইভ-জিতে হাইস্পিড পাওয়া যায়। উন্নত প্রযুক্তি এবং অডিও কিংবা ভার্চুয়াল রিয়েলিটির সরাসরি অভিজ্ঞতা দিতেই হুয়াওয়ের এই আয়োজন।

প্লে-জোনে অভিজ্ঞতা নেওয়ার পর স্কুলছাত্র রায়হান বাংলানিউজকে বলেন, সত্যিই ফাইভ-জি’র স্পিড ইন্টারনেটে দারুণ অভিজ্ঞতা দেবে।

সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, চলতি বছরই দেশে ফাইভ-জি চালু করা হবে। মেলা শুরুর দিন ১৬ জানুয়ারি মেলার টাইটেনিয়াম সহযোগী ‘হুয়াওয়ে’ ফাইভ-জি পরীক্ষা চালায়।

২০১৮ সালের ২৫ জুলাই বাংলাদেশে প্রথমবার ফাইভ-জি সেবা পরীক্ষায় মূখ্য ভূমিকা পালন করেছিলো হুয়াওয়ে। তখন ৮০০ মেগাহার্জ স্পেকট্রাম ব্যবহার করে প্রতি সেকেন্ডে সর্বোচ্চ ৪ জিবি পর্যন্ত ইন্টারনেট গতি পাওয়া গিয়েছিলো।

সেখানে এখন মাত্র ১০০ মেগাহার্জ স্পেকট্রাম (গতবারের ৮ ভাগের এক ভাগ) ব্যবহার করেই প্রতি সেকেন্ডে ১.৪ জিবি থেকে ১.৭ জিবি পর্যন্ত গতিতে ডেটা ট্রান্সফার করা সম্ভব হবে। দর্শনার্থীরা মেলার উদ্বোধনী দিনেই সেকেন্ডে ১.৬ জিবি গতিতে ডেটা ট্রান্সফারের অভিজ্ঞতা অর্জন করেন।

এবারের মেলায় ২৫টি স্টল, ২৯টি মিনিপ্যাভিলিয়ন এবং ২৮টি প্যাভিলিয়ন রয়েছে। এই আয়োজনে আইএসপিসহ ৮২টি প্রতিষ্ঠান, প্যারেন্টাল কন্ট্রোল, ট্রিপল প্লে (এক ক্যাবলে ল্যান্ডফোনের লাইন, ইন্টারনেট ও ডিশ সংযোগ), মোবাইল অ্যাপস, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা ও ডিজিটাল প্রযুক্তি ইত্যাদি প্রদর্শন করা হচ্ছে।

ওয়ালটন, স্যামসাং, সিম্ফনির মতো প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের উৎপাদিত পণ্য প্রদর্শন করছে। এছাড়াও দেশি সফটওয়্যার কোম্পানিগুলো তাদের তৈরি সফটওয়্যার ও সেবা উপস্থাপন করছে। টেলিকম অপারেটরগুলো তাদের ভয়েস, ইন্টারনেট ও মূল্য সংযোজিত সেবা (ভ্যাস) দেখাচ্ছে। জেডটিই, হুয়াওয়ে, নকিয়া, এরিকসন ফাইভ-জি প্রযুক্তি প্রদর্শন করে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ টেলিমেডিসিন ও এটিএম সেবা দেখাচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২০
এমআইএইচ/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।