ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

তথ্যপ্রযুক্তি

এপিকটায় রেকর্ডসংখ্যক পুরস্কার বাংলাদেশের

শাওন সোলায়মান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৯
এপিকটায় রেকর্ডসংখ্যক পুরস্কার বাংলাদেশের

হা লং, ভিয়েতনাম থেকে: দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর ঘোষণা করা হলো এশিয়া প্যাসিফিক আইসিটি অ্যাওয়ার্ড (এপিকটা)-২০১৯ এর বিজয়ীদের নাম। সদ্য সমাপ্ত এবারের আসরে নিজেদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক পুরস্কার অর্জন করেছে বাংলাদেশ।

তিনটি ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন এবং চারটি ক্যাটাগরিতে পাঁচটি মেরিট পুরস্কারসহ মোট আটটি পুরস্কার অর্জন করেছে বাংলাদেশের প্রকল্পগুলো।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) রাতে ভিয়েতনামের হা লং শহরের ডায়মন্ড প্যালেসে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) খাতের অস্কার হিসেবে খ্যাত এবারের আসরে চতুর্থবারের মতো অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ।  

এবার টেকনোলজি (আইওটি) ক্যাটাগরিতে বন্ডস্ট্যাইন’র পিজি ট্র্যাকার, ইন্ডাস্ট্রিয়াল (জেনারেল) ক্যাটাগরিতে সূর্যমুখী এবং ইনক্লুষণ (হেলথ এন্ড ওয়েল বিয়িং) ক্যাটাগরিতে এক্সেস টু ইনফরমেশনের (এটুআই) একশপ চ্যাম্পিয়ন পদক অর্জন করে।

অন্যদিকে কনজিউমার (মার্কেটপ্লেস) ক্যাটাগরিতে সিগমাইন্ডের ইন্টেলিজেন্ট কম্পিউটার ভিশন টেকনোলজি ফর ভিডিও অ্যানালিটিক্স, কনজিউমার (ব্যাংকিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স) ক্যাটাগরিতে সিএমইডি ডিজিটাল প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিস মডেল, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যান্ড সাপ্লাই চেইন ক্যাটাগরিতে প্রাইড সিস আইটি লিমিটেড এবং পাবলিক সেক্টর ন্যাশনাল ইনফরমেশন সেন্টার (৩৩৩) এবং দূতাবাস ‘মেরিট’ পজিশন অর্জন করে। মেরিট পজিশন অর্জনকারীদের দেওয়া হয় এপিকটার বিশেষ সনদপত্র।

এপিকটার প্রেসিডেন্ট স্ট্যান সিংঘ, ভিয়েতনাম সফটওয়্যার অ্যান্ড আইটি সার্ভিসেস অ্যাসোসিয়েশনের (ভিনাসা) সহ-সভাপতি লু থান লং এবং ভিনাসার মহাসচিব মিস নিগুয়ে থি থু জাং বিজয়ীদের মাঝে পদক ও সনদপত্র তুলে দেন।  

ঐতিহাসিক সাফল্যে উৎফুল্ল বাংলাদেশ দলের প্রধান এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বাংলানিউজকে বলেন, প্রথমবার আমরা একটি মেরিট, পরের দুইবার একটি করে উইনার এবং কিছু মেরিট পজিশনে জিতেছিলাম আমরা। এবার সব রেকর্ড ভেঙে তিনটি উইনার এবং চারটি ক্যাটাগরিতে পাঁচটি মেরিট সম্মাননা অর্জন করেছি। এটা পরিষ্কার ইঙ্গিত দেয় যে, প্রতিনিয়ত আমরা ভাল করছি। আগামীবার দেখা যাবে এর থেকে ভালো করবো আমরা।  

তিনি আরও বলেন, যারা বিজয়ী হয়েছে তাদের জন্য শুভ কামনা তো থাকলই, আর যারা হতে পারেনি তাদের জন্য এখানেই কিছু শেষ না। বরং এখানে তাদের যে অভিজ্ঞতা হল, নেটওয়ার্কিং হলো সেটা থেকেই ব্যবসায় আরও ভাল কিছু করা যেতে পারে।

.

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৯/আপডেট: ২০০৫ ঘণ্টা
এসএইচএস/এসএ

আরও পড়ুন>>
** বছরে ১৪ মিলিয়ন পর্যটক আসে হা লং-এ: ডং হুই হাউ​
** এপিকটায় অংশ নেবে দেশের ৩২ প্রকল্প​
** ঘণ্টা বাজিয়ে শুরু হলো এপিকটার ১৯তম আসর
**এপিকটায় শেষ হলো বাংলাদেশের দলগুলোর ইকুইপমেন্ট টেস্ট​
** প্রথম রাউন্ডে পিচ করলো দেশের ১৬টি দল​
** এপিকটায় পিচিং করছে দেশের ১৮টি প্রকল্প​
** মেধাবীদের দেশেই রাখতে চান বেসিস সভাপতি
**প্রথমবারের অভিজ্ঞতায় দ্বিতীয়বার আশাবাদী বন্ডস্টাইন

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।