ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

তথ্যপ্রযুক্তি

‘২০২৩ সালের আগেই বাংলাদেশে ফাইভ জি’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৯
‘২০২৩ সালের আগেই বাংলাদেশে ফাইভ জি’ ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার

রাজশাহী: ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেছেন, ‘প্রযুক্তি সর্বদা পরিবর্তনশীল। তাই কর্মজীবন ও পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলতে না পারলে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা অসম্ভব। বাংলাদেশ ফাইভ জি’র নেতৃত্ব দিচ্ছে। আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ফাইভ জি চালু করার কথা ছিল। কিন্তু আমরা আশা করছি এর আগেই দেশে ফাইভ জি চালু হবে’।

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজশাহী মহানগরের সুলতানাবাদ নিউমার্কেট এলাকায় টেলিটক কাস্টমার কেয়ার (হাউস নং-৩৫৬, প্রথম তলা, সাউথ সাইট) সেন্টার উদ্বোধন করেন মন্ত্রী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

 

মন্ত্রী বলেন, আগামী বছর অথবা পরের বছর দেশ ফাইভ জি যুগে যাবে। সে কারণে এখন যে প্রযুক্তিগুলো রয়েছে আগামীতে তার আমূল পরিবর্তন ঘটবে। আপনারা দেখতে পাবেন আমাদের রাষ্ট্রীয় সংস্থা টেলিটক এবং বিটিসিএল-তারাই প্রথম ফাইভ জি দিয়ে যাত্রা শুরু করবে।  

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেন, ‘আমরা ২২ হাজার পর্ন সাইট বন্ধ করেছি। দুই হাজার জুয়ার সাইট বন্ধ করেছি। প্রতিদিন জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে যারা গুজব ছড়ায় তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমরা ডিজিটাল নিরাপত্তা প্রকল্প বাস্তবায়নের শেষ পর্যায়ে রয়েছি। আমরা এইটকু বলতে চাই, যেভাবে আমরা প্রতিটি মানুষকে ইন্টারনেটের আওতায় আনতে চাই তেমনি করে আমরা ইন্টারনেটকে নিরাপদ করতে চাই। আমরা এই দায়িত্ব পালন করছি’।    

মন্ত্রী বলেন, ‘সামনের দিনগুলো শুধু ইন্টারনেট ও ব্রাউজিং করার দিন নয়, আধুনিক প্রযুক্তির যুগ। আমরাই প্রথম দেশের নামের সঙ্গে ডিজিটাল শব্দ ব্যবহার শুরু করি। বিশ্বে বাংলাদেশই প্রথম, দেশকে ডিজিটাল ঘোষণা করেছে। এক বছর পর ব্রিটেন এবং ছয় বছর পর ভারত একই ঘোষণা দিয়েছে। আট বছর পর বিশ্বজুড়ে বলা হচ্ছে এখন ডিজিটাল বিপ্লবের সময়। তাই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে শুধু গতানুগতিক প্রশিক্ষণ বা শিক্ষাগ্রহণ করলেই হবে না, অর্জিত জ্ঞানকে পেশাগত জীবনে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যাবে’।  

এর আগে দুপুরে রাজশাহী পোস্টাল একাডেমিতে অনুষ্ঠিত বিসিএস ক্যাডারদের ৬৮তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মন্ত্রী।

এরপর মন্ত্রী ডাক বিভাগ, টেলিকমিউনিকেশন্স লিমিটেড ও টেলিটকের বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।  

সভায় বাংলাদেশ ডাক বিভাগ, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেন্স লিমিটেড এবং টেলিটক বাংলাদেশের বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন সমস্যার কথা শোনেন মন্ত্রী এবং তা দ্রুত সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দেন।  

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস, বিপিএটিসি এর অতিরিক্ত সচিব মো. মুনির হোসেনসহ টেলিটকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৯
এসএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।