ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

তথ্যপ্রযুক্তি

বাংলাদেশে শুরু ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার ২০১৯’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৯
বাংলাদেশে শুরু ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার ২০১৯’ বক্তব্য রাখছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার

ঢাকা: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) খাতে তরুণদের অনুপ্রাণিত করার লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশে শুরু হয়েছে ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার ২০১৯’ প্রতিযোগিতা। চীনভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রমের (সিএসআর) অংশ হিসেবে দেশে ষষ্ঠবারের মতো আয়োজিত হতে যাচ্ছে এ প্রতিযোগিতা।

বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে বাংলাদেশের ৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ১০ জন বিজয়ী শিক্ষার্থী এ কর্মসূচির আওতায় সুযোগ পাবেন চীনে হুয়াওয়ের সদর দফতর ভ্রমণের এবং হাতে কলমে আইসিটি বিষয়ক প্রশিক্ষণ নেওয়ার।

রোববার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে এ প্রতিযোগিতার বাংলাদেশ পর্বের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন আর প্রযুক্তিতে পিছিয়ে নেই। সেই সঙ্গে আমাদের রয়েছে একঝাঁক মেধাবী এবং সম্ভাবনাময়ী তরুণ-তরুণী। আমাদের দায়িত্ব এই মেধাবী তরুণদের সঠিক পথের নির্দেশনা দেওয়ার। আর হুয়াওয়ে আমাদের তরুণদের জন্য এমন দারুণ সুযোগ করে দিচ্ছে। আমি জেনেছি গত বছর সিডস ফর দ্য ফিউচারের মূল আসরে বাংলাদেশ দল পুরস্কার জিতেছে। এবারও সেই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করি।

মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা খুব শিগগিরই ফাইভ-জি চালু করতে পারবো বলে আশা রাখি। হুয়াওয়েকে সঙ্গে নিয়ে আমরা এরইমধ্যে ফাইভ-জি পরীক্ষা করেছি। ৫-জি চালু হলে আমাদের জীবনধারার আমূল পরিবর্তন আসবে। এখন ফোর-জি’তে আমরা হয়তো এক জিবিপিএস গতির ডাটা পাই। ৫-জি’তে কমপক্ষে ২০ জিবিপিএস গতি পাবো। যার মাধ্যমে আমাদের আশেপাশের অনেক কিছু আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো।  

প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ঝ্যাং জেংজুন বলেন, বাংলাদেশে রয়েছে একঝাঁক স্বপ্নবাজ তরুণ প্রজন্ম। হুয়াওয়ে বিশ্বাস করে, এই তরুণরাই ডিজিটাল উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি। হুয়াওয়ের সিডস ফর দ্য ফিউচার প্রতিযোগিতা তরুণদের নতুন নতুন চিন্তাভাবনা ও উদ্ভাবন করতে সহায়তা করবে। তারা যেন ভবিষ্যতে একটি সুন্দর ও উন্নত সমাজ গড়ে তুলতে পারে, তাদের মনে সেই বীজবপণ করাই প্রতিযোগিতার উদ্দেশ্য।  

এবারের প্রতিযোগিতায় দেশের পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি), বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট), রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) থেকে দুইজন করে মোট ১০ জন প্রতিযোগীকে চূড়ান্তভাবে বাছাই করা হবে। প্রায় দুই মাসব্যাপী প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বাছাইকৃত এই ১০ জন তরুণ চীনে হুয়াওয়ের সদরদপ্তরে শিক্ষা সফরে যাওয়ার সুযোগ পাবেন।  

২০০৮ সাল থেকে বিশ্বের প্রায় ১০৮টি দেশে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছে হুয়াওয়ে। বাংলাদেশে ২০১৪ সালে এই প্রতিযোগিতা প্রথমবারের মতো আয়োজিত হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৯
এসএইচএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।