ঢাকা, বুধবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

তথ্যপ্রযুক্তি

কলরেট বাড়লো সব মোবাইল অপারেটরের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৮
কলরেট বাড়লো সব মোবাইল অপারেটরের  বিটিআরসি ও মোবাইল অপারেটরগুলোর লোগো

ঢাকা: দেশের মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর জন্য একই কলরেট চালু করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

সব মোবাইলে প্রতি মিনিট সর্বোচ্চ ২ টাকা এবং সর্বনিম্ন ৪৫ পয়সা কলরেট নির্ধারণ করে দিয়ে সোমবার (১৩ আগস্ট) বিটিআরসি অপারেটরগুলোর কাছে চিঠি পাঠিয়েছে।
 
বিটিআরসির সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া উইং) মো. জাকির হোসেন খাঁন বাংলানিউজকে বলেন, এখন থেকে অপারেটর ভেদে ভিন্ন কলরেট থাকবে না।

এক অপারেটর থেকে অন্য অপারেটরে কথা বললেও একই হারে কলরেট প্রযোজ্য হবে। এই হার ৪৫ পয়সা থেকে ২ টাকার মধ্যে।
 
জাকির হোসেন বলেন, সোমবার রাত ১২টা ১টা মিনিট থেকেই নতুন কলরেট কার্যকর করতে বলা হয়েছে।
 
এতোদিন একই অপারেটর বা অন নেট কলের জন্য প্রতি মিনিটে সর্বনিম্ন ২৫ পয়সা এবং অন্য অপারেটর বা অফ নেটে কথা বলার জন্য ৬০ পয়সা খরচ হতো। আর সর্বোচ্চ ট্যারিফ ছিল ২ টাকা।
 
এতোদিন অন নেট কলের জন্য গ্রাহকদের প্রতি মিনিটে সর্বনিম্ন ২৫ পয়সা এবং অফ নেটে ৬০ পয়সা খরচ হয়। আর প্রতি মিনিটের সর্বোচ্চ কলরেট ২ টাকা।
 
অপারেটর সংশ্লিষ্ট একজন বলেন, আগে অন নেটে সব মিলে খরচ মিনিট প্রতি পড়তো ৪০ পয়সার মতো। আর অফ নেটে খরচ ছিল ৯০ পয়সা থেকে ১ টাকা ৪৫ পয়সার মতো। নতুন নির্দেশনায় অন নেট কলের খরচ ৫ পয়সা বাড়লেও অফ নেট কলের খরচ প্রায় ৫০ পয়সা কমে যাবে।    
 
বিটিআরসির সর্বশেষ জুন মাসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশে মোট মোবাইল গ্রাহক সংখ্যা ১৫ কোটি ৯ লাখ ৪৫ হাজার। এরমধ্যে গ্রামীণফোনের ৬ কোটি ৯১ লাখ ৭০ হাজার, রবির ৪ কোটি ৪৭ লাখ ২৯ হাজার, বাংলালিংকের ৩ কোটি ৩২ লাখ ৮২ হাজার এবং টেলিটকের গ্রাহক সংখ্যা ৩৭ লাখ ৬৪ হাজার।
 
২০১০ সালে আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের (আইটিইউ) পরামর্শে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন কলরেট নির্ধারণ করে দিয়েছিল বিটিআরসি।
 
আট বছরের মাথায় বিটিআরসির নতুন নির্দেশনায় একই সঙ্গে ইন্টার কানেকশন চার্জ কমানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান জাকির হোসেন।
 
অফ নেট কলে ইন্টার কানেকশন চার্জ ১৪ পয়সা করা হয়েছে। নতুন কলরেটে প্রতি মিনিটের জন্য আইসিএক্স পাবে শূন্য দশমিক শূন্য ৪ পয়সা এবং টার্মেনেটিং অপারেটর পাবে ১০ পয়সা।
 
বিটিআরসির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো অন নেট এবং অফ নেট গ্রাহকদের জন্য পৃথক ট্যারিফ অফার করতে পারবে না। অর্থাৎ, একটি নির্দিষ্ট প্যাকেজ, অফার বা বান্ডেলে অন নেট ও অফ নেটের জন্য একই হারে ট্যারিফ প্রযোজ্য হবে।
 
নতুন কলরেট চালুর আগেই গ্রাহকদের রিচার্জ করা অর্থ, টক টাইম বা এয়ার টাইম এবং সব রেগুলার প্যাকেজ, অফার ও বান্ডেলগুলো নতুন জারি করা ট্যারিফ প্ল্যানের আওতায় সমন্বয় করতে হবে অপারেটরদের, বিষয়টি গ্রাহককেও জানিয়ে দিতে হবে। তবে গ্রাহকের সুবিধার্থে চালু করা প্যাকেজ শেষ হওয়ার পরে নতুন নির্দেশনা চালুর সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে।
 
গ্রাহকবিভ্রান্তি রোধে নতুন ট্যারিফ প্ল্যানের আওতাভুক্ত নয় এমন অফার বা বান্ডেল সম্বলিত স্ক্যাচকার্ড যা ইতোপূর্বে বাজারজাত করা হয়েছে তা বিক্রি থেকে বিরত ও পরিহার করে নিতে বলেছে বিটিআরসি।
 
পরিবির্তিত ট্যারিফ গ্রাহককে এসএমএস করে জানিয়ে দিতে হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৮
এমআইএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।