ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

তথ্যপ্রযুক্তি

প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে ই-প্রশ্নের ডিভাইস

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৮
প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে ই-প্রশ্নের ডিভাইস প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধ করবে ই-প্রশ্ন ডিভাইস। ছবি: জিএম মুজিবুর।

ঢাকা: প্রশ্নপত্র ফাঁস ও ভুয়া পরীক্ষার্থী ঠেকাতে পরীক্ষায় ব্যবহার হতে পারে ই-প্রশ্ন ডিভাইস। পরীক্ষার্থী কেন্দ্রে গিয়ে আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে ডিভাইসটি চালু করলেই স্ক্রিনে ভেসে উঠবে নির্ধারিত বিষয়ের প্রশ্ন। সেটি দেখে খাতায় উত্তর লিখতে হবে।

এজন্য পরীক্ষার্থীকে নির্বাচনী পরীক্ষার পর জাতীয় পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের ফি জমা দেওয়ার সময় আঙ্গুলের ছাপ দিতে হবে। কেন্দ্রে গিয়ে এই ছাপ দিয়েই ডিভাইসটি খুলতে হবে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীকে।

এতে প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকানোর পাশাপাশি ভুয়া পরীক্ষার্থীও ধরা পড়বে সহজে।
 
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) থেকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) শুরু হওয়া চার দিনব্যাপী বেসিস সফট এক্সপোতে এমনই এক ডিভাইস নিয়ে হাজির হয়েছে কপট্রোনিক ইনফোসিস্টেমস লিমিটেড।
 
সেখানে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. ইমরুল ইসলাম চৌধুরী ডিভাইসটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানালেন। তিনি বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস ও ভুয়া পরীক্ষার্থী ঠেকানো একটি ডিভাইস আমরা উদ্ভাবন করেছি। প্রত্যেকবার বিভিন্ন পরীক্ষার আগে ফরম পূরণের সময় নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের আঙ্গুলের ছাপ নেওয়া হবে। হলে গিয়ে পরীক্ষার্থী ছাড়া অন্য কেউ চালু করতে পারবেন না এই ডিভাইস।
 
‘এই ডিভাইস শিক্ষাবোর্ড থেকে পরীক্ষার্থীদের সরবরাহ করবে। শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে সুবিধামতো সময়ে সার্ভারে প্রশ্ন আপলোড করে দেবেন। প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে একটি করে ট্যাব দেওয়া হবে। আপলোড করার পর এসব প্রশ্ন প্রতিটি ডিভাইসে পৌঁছে যাবে। ’
 
ইমরুল ইসলাম বলেন, পরীক্ষার্থী হলে গিয়ে টেবিলে থাকা ডিভাইসটি চালু করে আঙ্গুলের ছাপ ও রোল নম্বর দিলে স্ক্রিনে প্রশ্ন দেখ‍া যাবে। সেই প্রশ্ন দেখে খাতায় উত্তর লিখবেন। আরও বেশি সুবিধ‍া চাইলে নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নের উত্তর ট্যাবেই দেওয়া যাবে।  

‘সেক্ষেত্রে একটি স্ক্রিন, একটি আঙ্গুলের ছাপ নেওয়ার স্থান ও নির্দেশক প্রদর্শন থাকবে। সিমকার্ড বা ওয়াইফাই দিয়ে ইন্টারনেট সংযোগ দিতে হবে। ’
 
তিনি বলেন, পরীক্ষা শুরুর এক মিনিট আগে বোর্ড কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে কোন সেটের প্রশ্ন ছাড়া হবে। ট্যাব চালু করলে কেবল ওই সেটের প্রশ্ন ট্যাবের স্ক্রিনে দেখা যাবে। এক্ষেত্রে প্রশ্ন আপলোডকারী ছাড়া আর কারও পক্ষে জানা সম্ভব হবে না কোন সেটের প্রশ্নে পরীক্ষা হবে। এছাড়া একজন শিক্ষার্থী কোন কেন্দ্রের কোন কক্ষে বসে পরীক্ষা দিচ্ছে তাও মনিটরিং করা যাবে।
 
ইমরুল ইসলাম বলেন, প্রতিটি ট্যাবের দাম ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার মধ্যে হবে। একবার চার্জ দিলে ৩-৪ ঘণ্টা চলবে। এক সঙ্গে ১০০ ডিভাইস চার্জ দেওয়ার বক্স পাওয়া যায়। যদি কোনো কারণে সার্ভার হ্যাক হয়, তাহলে মুহূর্তের মধ্যে আবার নতুন প্রশ্ন আপলোড করে দেওয়া যাবে।
 
‘এসব ডিভাইস কিনতে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় হবে শিক্ষাবোর্ডের। তবে এই ব্যয়ের অর্থ আবার বিকল্প উপায়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে তোলা সম্ভব। ’

তিনি বলেন, জাতীয় পরীক্ষার পর এসব ট্যাব শিক্ষাবোর্ড থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাময়িক পরীক্ষা গ্রহণের জন্য ভাড়া দিতে পারবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রশ্ন তৈরির খরচ বেঁচে যাবে। সেটা বোর্ডকে প্রদান করবে।
 
আগামী রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে।  

সবার জন্যে উন্মুক্ত এ মেলায় প্রায় দুইশোর বেশি দেশি-বিদেশি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের জন্য পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করা হচ্ছে।  

আছে ৩০টিরও বেশি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সেমিনার; যেখানে বক্তব্য দিচ্ছেন শতাধিক দেশি-বিদেশি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৮
এসই/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।