ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

তথ্যপ্রযুক্তি

গ্রাহক ধরে রাখতে টেলিটককে `মোর ইফিশিয়েন্ট' হতে হবে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০১৭
গ্রাহক ধরে রাখতে টেলিটককে `মোর ইফিশিয়েন্ট' হতে হবে বিটিআরসি চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ

ঢাকা: এক নম্বরে অন্য অপারেটরের সেবা বা এমএনপি চালু হলে গ্রাহক ধরে রাখার দায়িত্ব রাষ্টায়ত্ত অপারেটর টেলিটককেই নিতে হবে জানিয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ বলেছেন, এজন্য টেলিটককে মোর ইফিশিয়েন্ট হতে হবে।

মঙ্গলবার (০৭ নভেম্বর) বিকেলে বিটিআরসি ভবনে বাংলাদেশ ও স্লোভেনিয়ার যৌথ কনসোর্টিয়াম ইনফোজিলিয়ান বিডির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মামরুর হোসেন এবং বিদেশি শেয়ারহোল্ডার টেলিটেক ডিওও স্লোভেনিয়ার প্রতিনিধি টমির হাতে লাইসেন্স নোটিশ তুলে দেন সংস্থার চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ।
 
আগামী মার্চের শেষে বা এপ্রিলের প্রথমার্ধে এমএনপি সেবা পাওয়া যাবে বলে আশা করছে লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান।


 
এমএনপি সেবা চালু হলে দুর্বল নেটওয়ার্কে থাকা অপারেটর টেলিটকের সব গ্রাহক অন্য অপারেটরে চলে গেলে বাজার প্রতিযোগিতা কীভাবে ঠিক রাখা হবে- প্রশ্নে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, টেলিটককে ডেফিনিটলি মোর ইফিশিয়েন্ট হতে হবে তার কাস্টমার ধরে রাখার জন্য।
 
বিটিআরসির সর্বশেষ আগস্ট মাসের তথ্যমতে, পাঁচটি অপারেটরের মোট গ্রাহক ১৩ কোটি ৯৩ লাখ ২ হাজার। এরমধ্যে টেলিটকের মাত্র ৩২ লাখ ৩৪ হাজার। আর গ্রামীণফোনের ৬ কোটি ৩১ লাখ ২৭ হাজার, বাংলালিংকের ৩ কোটি ২২ লাখ ৭২ হাজার, রবি’র ৪ কোটি ৬ লাখ ৬৯ হাজার।
 
লোকসান দিয়ে হলেও টেলিটককে শুধু সেবার জন্য চালু রাখার কথা বলে আসছে সরকার। তবে টেলিটকের নেটওয়ার্ক উন্নত করতে ৬১০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অর্থাভাবে আটকে আছে, বলে আসছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
 
এক অপারেটরে বেশি হলে মার্কেট প্রতিযোগিতা কীভাবে হ্যান্ডেল করা হবে- এমন প্রশ্নে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, যাতে ওপেন মার্কেট কম্পিটিশন হয়, সেই চেষ্টা করছি। ফ্রি মার্কেট কম্পিটিশন হলে কাস্টমাররা বেশি বেনিফিটেড হয়। এটার উপর বেশি জোর দিচ্ছি। এখনও একটি অপারেটর বেশি প্রাধান্য হয়ে আছে। ক্যান ‍উই ডু এনিথিং? এটার পারফেক্ট সমাধান নাই। সিগনিফিকেন্ট মার্কেট ফ্যাক্টর অ্যাপ্লাই করে যারা খুব বেশি এগিয়ে আছে তাদের কিছুটা দমানো যায়, বাট নট প্রোপারলি।
 
এমএনপিতে অননেট-অফনেট কীভাবে নিশ্চিত হওয়া যাবে- এক প্রশ্নে বিটিআরসির এক কর্মকর্তা বলেন, এটা নিয়ে আমরা চিন্তা করছি। অননেট-আফনেট ট্যারিফের পার্থক্য ধীরে ধীরে কমিয়ে এক করে ফেলার জন্য কাজ করছি। এক করে ফেললে তখন আর এই সমস্যাটা থাকবে না।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৭
এমআইএইচ/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।