ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

তথ্যপ্রযুক্তি

স্মার্টকার্ডের মাধ্যমে সব সেবা দেয়া নিয়ে গবেষণা চলছে

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৩৯ ঘণ্টা, মে ৩, ২০১৭
স্মার্টকার্ডের মাধ্যমে সব সেবা দেয়া নিয়ে গবেষণা চলছে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ছবি- দীপু মালাকার

ঢাকা: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকেই(আইসিটি)এখন বলা হচ্ছে সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনার জায়গা। কেননা, এখন সবার কাছেই আইসিটি পণ্যের চাহিদা তৈরি হয়েছে। তাই দেশের বাজারের পাশপাশি আন্তর্জাতিক বাজার ধরতে পারলে রেমিট্যান্সের চেয়েও আইসিটি খাতের আয় বেশি হবে। সরকারের আইসিটি বিভাগও এজন্য দেশের জনশক্তিকে আইসিটিতে দক্ষ করে তোলার ব্যাপক কর্মযজ্ঞ হাতে নিয়েছে। যার নানা দিক নিয়ে আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক একান্তে কথা বলেছেন বাংলানিউজের সঙ্গে।

দুই পর্বের এই কথোপকথনের শেষ পর্ব আজ তুলে ধরা হলো পাঠকদের জন্য। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন বাংলানিউজের সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ইকরাম-উদ দৌলা



বাংলানিউজ: লার্নিং আর্নিং মেলায় সাড়া কেমন?
জুনাইদ আহমেদ পলক: এটার সাড়া খুব ভাল। প্রত্যেকটা জেলায় আমরা দুইশ জনকে ট্রেনিং দেওয়ার জন্য মেলার আয়োজন করছি। রেজিস্ট্রেশন হচ্ছে প্রায় ১ হাজার ৫শ থেকে ২ হাজার জনের। অনেক জায়গায় আড়াই হাজার জনের। ফলে তরুণ-তরুণী যারা এসএসসি, এইচএসসি পাশ করে এলাকায় থেকে আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে চায়, তাদের জন্য এই মেলার আয়োজন। প্রযুক্তিনির্ভর আত্মকর্মসংস্থানের জন্য লার্নিং আর্নিংকে রিভাইজ করে আমরা আরো সময়পোযোগী করে এটার আওতা ও আকার  বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছি।

 ** কথোপকথনের প্রথম পর্ব

 
বাংলানিউজ: স্টার্টআপদের কর্মসংস্থানের বেলায় পুঁজিহীনদের জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?
জুনাইদ আহমেদ পলক: যার পুঁজি নেই, তাকে পুঁজি হিসেবে ল্যাপটপ দিচ্ছি। এখন ধরুন, আমরা প্রশিক্ষণ এবং কাজের হাতিয়ার দুটোই দিয়ে দিয়েছি। এখন তার ব্যক্তিগত যতটুকু মেধা, পরিশ্রম এবং একাগ্রতা আছে তা দিয়েই কাঙ্ক্ষিত ফল অর্জন করবে।
 
বাংলানিউজ: ফ্রিল্যান্সারদের জন্য কি করছেন?
জুনাইদ আহমেদ পলক: আমরা এ বিষয়েও খুব ভাল চিন্তাভাবনা করছি। দেশে এখন ৫লাখ ফ্রিল্যান্সার আছে। আমরা ২০২০ সালের মধ্যে ১০ লাখ ফ্রিল্যান্সার তৈরির চেষ্টা করছি। কিভাবে তারা অনলাইন প্ল্যাটফরমে কাজ করে সেটা নিয়ে কাজ করছি। এ থেকে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার আয় হতে পারে। এজন্য এখন শুধু ট্রেনিং দেব। যেন জীবনব্যাপী একটা কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হতে পারে।
 
বাংলানিউজ: স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে কোডিং প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার আয়োজন করে রেকর্ড করার চিন্তা-ভাবনা হচ্ছে বলে জানা গেছে। বিষয়টা কোন পর্যায়ে আছে?
জুনাইদ আহমেদ পলক: ২ হাজার ১শ স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে বিশ্বরেকর্ডের চিন্তা-ভাবনা করছি। তবে এখানো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিইনি।
 
বাংলানিউজ: এই বছরের মধ্যেই কোনো সিদ্ধান্ত আসবে কি?
জুনাইদ আহমেদ পলক: চিন্তাভাবনা করছি। সিদ্ধান্ত নিইনি। সিদ্ধান্ত নিলে অফিসিয়ালি ব্রিফ করবো।
 
বাংলানিউজ: স্মার্টাকার্ডকে কেন্দ্র করে নাগরিকসেবা দেওয়ার কী পরিকল্পনা করছেন?
জুনাইদ আহমেদ পলক: আমাদের একটা সিভিল রেজিস্ট্রেশন অ্যান্ড ভাইরাল স্ট্যাটিসটিক্স (সিআরভিএস) আছে। আমাদের স্মার্টকার্ডকে কেন্দ্র করে হেলথ রেকর্ড থেকে শুরু করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, নিরাপত্তা-- এই ধরনের বেশ কিছু সার্ভিস ইনোভেশনের কাজ চলছে। দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে আমাদের চুক্তি হয়েছে। এজন্য আরো একবছর লাগবে। তারপর বলতে পারবো, স্মার্টকার্ডভিত্তিক কি কি সেবা আমরা তৈরি করতে পারবো।
 
বাংলানিউজ: এই এক বছর তাহলে কী করা হবে?
জুনাইদ আহমেদ পলক: এখন গবেষণার কাজ চলছে। ৫২টা মন্ত্রণালয় ১২০টা সংস্থা আছে। তাদের সঙ্গে নিয়মিত ডায়ালগ হচ্ছে। রিকোয়ারমেন্টগুলো তৈরি করা হচ্ছে। এতে আমাদের একটা ন্যাশনাল এন্টারপ্রাইজ আর্কিটেকচার তৈরি হয়েছে। একটা গাইডলাইন আছে, যে ইন্টারঅ্যাপারিবিলিটি কিভাবে নিশ্চিত হবে। যখন স্মার্টকার্ড থাকবে সবার হাতে, ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট, ধরুন পাসপোর্টের অ্যাকাউন্ট কিংবা ইটিআইএন এগুলো প্রত্যেকটাই কিন্তু একটা আরেকটার সাথে ইন্টারঅ্যাপারেবল হবে। তো এই ইন্টারঅ্যাপারেবিলিটি যখন নিশ্চিত করা হবে, যখন এই স্ট্রাকচারটা গড়ে উঠবে; তখন কিন্তু আমরা একটা স্মার্টকার্ড থেকে একশ রকমের সুযোগ-সুবিধা পাবো শুধু ভেরিফাই করলেই হবে। এটা নিয়েই কাজ চলছে ১২০টা সংস্থার সঙ্গে। আমরা কতগুলো সার্ভিস, সলিউশন নিয়ে আসতে পারবো হয়তো এক বছর পরে জানাতে পারবো।
 
বাংলানিউজ: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
জুনাইদ আহমেদ পলক: আপনাকেও ধন্যবাদ।

বাংলাদেশ সময়: ১০২৫ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১৭
জেএম/

** মাদ্রাসাতেও প্রোগ্রামিং শেখানো হবে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।