ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

তথ্যপ্রযুক্তি

মাদ্রাসাতেও প্রোগ্রামিং শেখানো হবে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৯ ঘণ্টা, মে ২, ২০১৭
মাদ্রাসাতেও প্রোগ্রামিং শেখানো হবে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক- ছবি: দীপু মালাকার

ঢাকা: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকেই(আইসিটি)এখন বলা হচ্ছে সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনার জায়গা। কেননা, এখন সবার কাছেই আইসিটি পণ্যের চাহিদা তৈরি হয়েছে। তাই দেশের বাজারের পাশপাশি আন্তর্জাতিক বাজার ধরতে পারলে রেমিট্যান্সের চেয়েও আইসিটি খাতের আয় বেশি হবে। সরকারের আইসিটি বিভাগও এজন্য দেশের জনশক্তিকে আইসিটিতে দক্ষ করে তোলার ব্যাপক কর্মযজ্ঞ হাতে নিয়েছে। যার নানা দিক নিয়ে আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক একান্তে কথা বলেছেন বাংলানিউজের সঙ্গে। দুই পর্বের এই কথোপকথনের প্রথম পর্ব আজ তুলে ধরা হলো পাঠকদের জন্য। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন বাংলানিউজের সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ইকরাম-উদ দৌলা।

বাংলানিউজ: কোডিং অ্যান্ড প্রোগ্রামিং কর্মসূচির লক্ষ্য কী?
জুনাইদ আহমেদ পলক: আমাদের টার্গেট প্রোগ্রামার তৈরি করা। ২০১০ সালে থেকে ক্লাস সিক্স থেকে টোয়েল্ভ ক্লাশ পর্যন্ত তথ্য ও প্রযুক্তি সাবজেক্টটাকে কম্পলসারি করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আমরা চাচ্ছি, স্কুল-কলেজে ও মাদ্রাসাসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব স্থাপনের মধ্যে দিয়ে শিক্ষার্থীদের কোডিং, প্রোগ্রামিং শেখাতে এবং এই কালচারের মধ্য বড় করতে। ইউরোপ-আমেরিকায় আগামী পাঁচ বছরে ২০ লাখ প্রোগ্রামার দরকার হবে। কিন্তু তাদের সেই জনবল নেই। আমরা এই মুহূর্তে ডেমোগ্রাফিক সুবিধা (জনসংখ্যার সুবিধা) এনজয় করছি। আমরা চাচ্ছি, শৈশব-কৈশোর থেকেই শিক্ষার্থীরা যেন অংক, ইংরেজি, বিজ্ঞানের পাশপাশি প্রোগ্রামিং, কোডিংটাও শিখে বড় হয়। এজন্য আমরা গত তিন বছর ধরে ন্যাশনাল হাইস্কুল প্রোগ্রামিং কনটেস্টের আয়োজন করে আসছি। প্রতিবছরই অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা বাড়ছে।
 
বাংলানিউজ: এই প্রতিযোগিতার আন্তর্জাতিক ইমপেক্ট আছে কি?
জুনাইদ আহমেদ পলক: হ্যাঁ। প্রতিবছরই ১০ থেকে ১৫ জন সেরা হয়। তাদেরকে ইন্টারন্যাশানাল কোডিং অ্যান্ড প্রোগ্রামিং (আইসিপিসি) প্রতিযোগিতায় পাঠানো হয়। এবারও ইরানে যে প্রতিযোগিতা হবে সেখানে ১১ জন যাবে।
 
বাংলানিউজ: সেখান থেকে আগের অর্জন কী
জুনাইদ আহমেদ পলক: এর আগে যখন বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতা হতো সেখানে বুয়েটসহ বেশ ক’টি ইউনির্ভাসিটির পারফরম্যান্স বেশ ভাল ছিল। এখন যে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা হয়, প্রতিবছরই আমাদের ছেলে-মেয়েরা প্রথম দশের মধ্যেই থাকে। অনেক সময় অনেকে চ্যাম্পিয়নও হয়। তো আমাদের অর্জন অত্যন্ত ভাল।
 
বাংলানিউজ: আইসিটি খাতে রাজস্ব আয় নিয়ে পরিকল্পনা কী
জুনাইদ আহমেদ পলক: এটা খুব ভালভাবেই দেখছি আমরা। এক্ষেত্রে ২০১৮ সালের মধ্যে আইসিটি সেক্টর থেকে ১ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি-আয় করতে চাই। ২০২১ সাল নাগাদ ৫ বিলিয়ন ডলার আয় করতে চাই।
 
বাংলানিউজ: আইসিটিতে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে কি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে?
জুনাইদ আহমেদ পলক: আমাদের লিবারেজিং আইসিটি প্রকল্প, এখানে আইটি, আইটিএস গ্র্যাজুয়েটদের ট্রেনিং দেওয়া হয়। টপ আপ, মিডল ম্যানেজমেন্ট এবং ফাস্ট অ্যান্ড ফিউচার লিডারশিপ তৈরি করা হয়। ইন্টার্নশিপের ব্যবস্থা করা হয় আর ফ্রিল্যান্সিং-র জন্য লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং এর আওতায় সারাদেশের প্রতি জেলায় ৫০ দিনব্যাপী দুইশ জনকে ট্রেনিং দেওয়া হয়।
 
বাংলানিউজ : ট্রেনিং ফিডব্যাক কী?
জুনাইদ আহমেদ পলক: ফিডব্যাক খুবই ভাল। বিশ্বের কোথাও শতভাগ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যায় না। আপাতত বছর খানেকের মধ্যে ৬০ শতাংশের কর্মসংস্থান করা হচ্ছে। যারা ৫০ দিন প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন, তারা আস্তে আস্তে প্র্যাকটিস করছেন। অনেকের হয়তো ডিভাইস নাই। আমরা হয়তো একটা জেলাতে দুইশজনকে ট্রেনিং দিচ্ছি, তাদের মধ্যে সেরা তিনজনকে ল্যাপটপ পুরস্কার দিচ্ছি। বাকি ১৯৭ জনের অনেকের হয়তো পারিবারিক সক্ষমতা আছে। তাদের ১শ জন হয়তো ল্যাপটপ ব্যবহার করতে পারছে। বাকি ৯৭ জন পারছে না। তবুও আমাদের ওভারঅল ফিডব্যাক ভাল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গত ডিসেম্বরে একটা প্রজেক্ট পাশ করে দিয়েছেন। এর আওতায় সাতটি জেলায় শেখ রাসেল, শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবিশন সেন্টার স্থাপন হচ্ছে। সংখ্যাটা আরো বাড়ছে। আমরা এই ট্রেনিংগুলোকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে স্থাপন করতে চাই। আশা করছি, প্রতি বছর আমরা অন্তত ৫০ হাজার জনকে ট্রেনিং প্রোভাইড করতে পারবো।

(...কাল পড়ুন দ্বিতীয় পর্ব। )

বাংলাদেশ সময়: ০১১৩ ঘণ্টা, মে ০২, ২০১৭
জেএম/

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।