ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

তথ্যপ্রযুক্তি

সংস্কৃতি ও মেধা বাঁচাতে মেধাস্বত্ব সংরক্ষণ অপরিহার্য

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৭
সংস্কৃতি ও মেধা বাঁচাতে মেধাস্বত্ব সংরক্ষণ অপরিহার্য অনুষ্ঠানের অতিথি, আলোচক ও অংশগ্রহণকারীরা

ঢাকা: দেশের সংস্কৃতি, চলচ্চিত্র, সংগীত, শিল্প ও মেধা বাঁচাতে মেধাস্বত্ব সংরক্ষণ অপরিহার্য বলে মন্তব্য করে এটি সম্পর্কে ভালোভাবে জানার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যপ্রযুক্তি সেক্টরের বিশিষ্টজনেরা।

বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে সকলকে বিশেষত তরুণ প্রজন্মকে মেধাস্বত্ব সংরক্ষণে সচেতন হওয়ারও আহ্বান জানান তারা।

মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক মেধাস্বত্ব সংরক্ষণ দিবসে বাংলাদেশ আইপি ফোরামের (বিআইপিএফ) ‘ভলানটিয়ার ফর আইপি প্রোগ্রাম’ অনুষ্ঠানে এসব আহ্বান জানান তারা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের মিলনায়তনে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত লিওনি কিউলিনেয়া।

উদ্বোধনী পর্বে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসের (বেসিস) সভাপতি মোস্তাফা জব্বার ও বাংলাদেশ আইপি ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ব্যারিস্টার এবিএম হামিদুল মিজবাহ।

ব্যারিস্টার এবিএম হামিদুল মিজবাহ বলেন, ‘ইন্টারনেটে ডোমেইন নাম রেজিস্ট্রেশনে সব দেশেই আইন আছে। কিন্তু আমাদের দেশে নেই, যা দুঃখজনক। তাই আমাদের ডোমেইন ট্রেডমার্ক করে নিতে হবে’।

সোশ্যাল মিডিয়াতেও মেধাস্বত্ব সংরক্ষণে গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের তরুণ ছেলে-মেয়েরা গেম বানাচ্ছেন। মেধাস্বত্ব সংরক্ষণে তাদেরকেও সচেতন হতে হবে’।

বিভিন্ন পর্বে কপিরাইট ও মেধাস্বত্বের নানা দিক নিয়ে বক্তব্য দেন কাজী ফুডস্‌ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী তানভীর হায়দার চৌধুরী, দীপ্ত টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী উরফি আহমেদ, ‘উন্মাদ’ পত্রিকার সম্পাদক আহসান হাবীব, কমেডিয়ান নাভিদ মাহমুদ, চলচ্চিত্র পরিচালক আসিফ মুনীর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর নূজহাত চৌধুরী।

টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর জন্য বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মেধাস্বত্ব সংরক্ষণ অপরিহার্য উল্লেখ করে দীপ্ত টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী উরফি আহমেদ বলেন, ‘ইদানিং আমাদের বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান অন এয়ারের এক ঘণ্টার মধ্যেই ইউটিউবে পাওয়া যায়, যেটি অবৈধ। মেধাস্বত্ব সংরক্ষণ একটি দেশের, একজন সৃষ্টিশীল মানুষের ভবিষ্যৎ’।

সমাপনী ও সনদ বিতরণ পর্বে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এ-টুআই (এক্সেস টু ইনফরমেশন) প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক কবির বিন আনোয়ার।

অনুষ্ঠানটির সহযোগী হিসেবে ছিল বাংলাদেশ কপিরাইট অফিস, ডিপার্টমেন্ট অব প্যাটেন্ট ডিজাইন অ্যান্ড ট্রেডমার্কস এবং বেসিস।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০১৭
ইউএম/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।