ঢাকা, সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

তথ্যপ্রযুক্তি

জিপি নেটওয়ার্কের সর্বোচ্চ ব্যবহার করেছে

ইশতিয়াক হুসাইন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৫
জিপি নেটওয়ার্কের সর্বোচ্চ ব্যবহার করেছে মেহদাত এল হুসেইনি / ছবি: শোয়েব মিথুন / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: গ্রামীণফোনের চিফ টেকনোলজি অফিসার (সিটিও) মেহদাত এল হুসেইনি বলেছেন, দেশব্যাপী নেটওয়ার্ক রয়েছে গ্রামীণফোনের। থ্রিজির জন্য রয়েছে ১০ মেগাহার্টজ স্পেকট্রাম।

নেটওয়ার্ক বিবেচনায় আমরাই এর সর্বোচ্চ ব্যবহার করেছি। কারণ, আমাদেরই রয়েছে সবচেয়ে বেশি গ্রাহক।   

গ্রামীণফোনের প্রধান কার্যালয় জিপি হাউসে বৃহস্পতিবার কয়েকজন সাংবাদিকের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
 
মেহদাত এল হুসেইনি বলেন, প্রযুক্তিগত দিক বিবেচনায় গ্রামীণফোনের অনেক এগ্রেসিভ পরিকল্পনা। বাংলাদেশকে ঘিরে আমাদের অঙ্গীকার দীর্ঘমেয়াদী। গ্রামীণফোন এদেশে বহু টাকা বিনিয়োগ করেছে। আমাদের ক্যাপাসিটি, থ্রিজি কাভারেজ, ডাটা নেটওয়ার্ক, কাস্টমার বিহেভিয়ার, ফোর জি-এসব কিছু নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে।  

তিনি বলেন, পুরো শিল্পকে রেডি (প্রস্তুত) করতে অনেক কিছুই প্রয়োজন। ফোরজি কিংবা এলটির জন্য কত হ্যান্ডসেট রেডি! এলটি যে টেকনোলজি, সেই তুলনায় হ্যান্ডসেট খুবই কম। তবে মার্কেট রেডি হলে গ্রামীণফোনও ফোরজি ও এলটির সব সেবা দিতে পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে।  

দেশের বৃহৎ মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোনের সিটিও মনে করেন, থ্রিজি এনাবলড হ্যান্ডসেটই এই মুহূর্তে এদেশে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। হ্যান্ডসেট পেনেট্রেশন এখানে খুবই কম। তবে শুধু থ্রিজি নেটওয়ার্ক বাড়ালেই হবে না, এর অন্যতম অনুষঙ্গ উপযুক্ত হ্যান্ডসেট থাকতে হবে।

এই সমস্যার সমাধানও রয়েছে বলে উল্লেখ করে মেহদাত এল হুসেইনি বলেন, বিষয়টিকে এককভাবে নয়, সম্মিলিতভাবে সমাধান করতে হবে। আমরা স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে কাজ করছি। কারণ, দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধিও এখন নির্ভর করে টেলিযোগাযোগের উন্নয়নের ওপর।  

ওরাসকমের মতো বিশখ্যাত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন তিনি। বাংলাদেশ ছাড়াও কানাডা, ইতালি, গ্রিস, নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড, পাকিস্তান, আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া, মিশর ও কোরিয়ায় টেলিযোগাযোগ খাতে কাজ করার অভিজ্ঞাসম্পন্ন মেহদাত এল হুসেইনি।   

প্রায় চার মাস ধরে এদেশে কাজ করা এই টেলিযোগাযোগ প্রকৗশলী বলেন, সবকিছুতেই চ্যালেঞ্জ থাকে। চ্যালেঞ্জকে আমি কখনোই নেতিবাচকভাবে দেখি না। কারণ, আসলেই এটি নেতিবাচক কোনো ইস্যু নয়। চ্যালেঞ্জ মানে আরো ভালো সেবা।  

টেলিযোগাযোগ খাতে মেহদাত ২০ বছরের অভিজ্ঞ প্রকৌশলী। গ্রামীণফোনের কলড্রপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কেউ যদি তার নিজের কলড্রপের সংখ্যার সঙ্গে গ্রামীণফোনের তুলনা করেন, তাহলে তা ভুল হবে। যেহেতু, আমাদের গ্রাহক এবং কলসংখ্যা অনেক বেশি, তাই, কলড্রপের সংখ্যাও স্বাভাবিকভাবে বেশি। তবে কলড্রপের এই হার এক শতাংশের নিচে। কলড্রপের ক্ষেত্রে শতকরা হিসাবে আসতে হবে, সংখ্যা হিসেবে নয়।

তিনি মনে করেন, দেশের মূল চালিকা শক্তি হবে টেলিযোগাযোগ। থ্রিজি কাভারেজ, কোয়ালিটি, ক্যাপাসিটির ভিত্তিতে গ্রাহকদের সেবা অফার দেওয়াই লক্ষ্য। তবে অবশ্যই মান ও দামের সঙ্গে কম্প্রোমাইজ করে নয়।               

গ্রামীণফোন দ্রুতই ৬৪ জেলাতে তাদের থ্রিজি নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করেছে। এই ধারা অব্যাহত রেখে কবে নাগাদ সারাদেশ থ্রিজি নেটওয়ার্কের আওতায় আসবে- এমন প্রশ্নের জবাবে মেহদাত বলেন, আমরা সব জেলা গেছি। এর বাইরে যেসব জায়গায় ডাটার ব্যবহার বেশি, সেখানেই আগে যাবো। তবে পুরো দেশকে থ্রিজি নেটওয়ার্কের আওতায় কবে আনা হবে, তা সুনির্দিষ্ট করে বলা কঠিন। তবে যত দ্রুত সম্ভব, এই নেটওয়ার্ক বিস্তারের কাজ সম্পন্ন করা হবে। টুজি নেটওয়ার্ক বিস্তারেও এদেশে অনেক সময় লেগেছে। থ্রিজি’র ক্ষেত্রে ৫ থেকে ৬ বছর লেগে যেতে পারে। কারণ, একেবারে গ্রামে এই নেটওয়ার্ক বিস্তার কিছুটা সময় সাপেক্ষ।  

মেহদাত বলেন, নেটওয়ার্ক কাভারেজের দিক থেকেই তারা এক নম্বর। এরপরেও কাস্টমার কেন্দ্রিক সেবা দেওয়াই তাদের মূল ফোকাস। বিশেষ করে নেটওয়ার্ক কাভারেজ, কোয়ালিটি সার্ভিস। তাদের শক্তি ‘কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট সার্ভিস’। তারাই একমাত্র আইপিবেসড ট্রান্সমিশন ব্যবহার করে থাকেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।