ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

শিল্প

হাজারীবাগে প্রবেশ করছে কাঁচা চামড়া

ফররুখ বাবু, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১০ ঘণ্টা, মে ৬, ২০১৬
হাজারীবাগে প্রবেশ করছে কাঁচা চামড়া ছবি:দীপু-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: হাজারীবাগ ট্যানারিতে প্রবেশ করছে কাঁচা চামড়া। শুক্রবার (৬ মে) হাজারীবাগ ট্যানারি শিল্প এলাকা সরেজমিনে ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

তবে হাজারীবাগ ট্যানারি এলাকায় কাঁচা চামড়া’র প্রবেশে সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও সেখানে কাঁচা চামড়া প্রবেশের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে হাজারীবাগ ১৪ নং ওয়ার্ডের এক নম্বর ইউনিট আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ট্যানারি শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মো. নূর হোসেন জানান, চামড়া শিল্পের স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন স্থানীয় ট্যানারি মালিকরা ও স্থানীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস।

তিনি বলেন, সাভার ট্যানারি নগরী কাঁচা চামড়া প্রস্তুত করার জন্য এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। এদিকে সামনে কোরবানি, তারপর বায়ারদের অর্ডার থাকায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সংসদ সদস্য তাপস।

ইব্রাহীম লেদার লিমিটেড এর শ্রমিক তাজুল ইসলাম বলেন, সাভার ট্যানারি পূর্ণাঙ্গরূপ নিতে অনেক সময় লাগবে। আর এই সময়ের মধ্যে চামড়া তৈরির কাজ বন্ধ রাখলে বিদেশি বায়াররা অন্য দেশ থেকে তাদের চাহিদা পূরণ করবেন। তখন দেশে চামড়া শিল্পে ধস নামবে।

তিনি আরও বলেন, পাঁচদিন আগে স্থানীয় সংসদ সদস্যের সঙ্গে ট্যানারি মালিক ও শ্রমিকদের বৈঠক হয়েছে। ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে কোরবানির ঈদ পর্যন্ত হাজারীবাগ ট্যানারিতে কাঁচা চামড়া প্রবেশ করবে। এরপর থেকে এ এলাকায় আর কাঁচা চামড়া প্রবেশ করলে ট্যানারির ইউটিলিটি সার্ভিস বিচ্ছিন্ন করা হবে বলেছেন এমপি তাপস।

অবশ্য এ ব্যাপারে সংসদ সদস্য ফজলে নূর তাপসের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।

এদিকে সরেজমিনে হাজারীবাগ ঘুরে দেখা যায়, হাজারীবাগ থেকে সাভারে ট্যানারি সরিয়ে নেয়ার সরকারি ঘোষণার পর হাজারীবাগ ট্যানারি এলাকার ৬০ ভাগ ট্যানারি সাভার চলে গেছে। তবে ছোট ছোট কিছু ট্যানারি এখনও সেখানে রয়ে গেছে।

এদিকে অর্ধেকের বেশি ট্যানারি হাজারীবাগ এলাকা থেকে সরে যাওয়া স্বস্তিতে নিঃশ্বাস নিতে পারছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

স্থানীয় বাসিন্দা সাগর বলেন, সরকারের ঘোষণার পর প্রায় ৬০ ভাগ ট্যানারি সাভার চলে গেছে, এখন যা রয়েছে তা ছোট ট্যানারি। যে কারণে এই এলাকায় আগের মত দুর্গন্ধ নেই।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০১৬
এফবি/জিসিপি/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।