ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

ভারত

মোদিকে হারানো এত সহজ হবে না: পিকে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২২
মোদিকে হারানো এত সহজ হবে না: পিকে প্রশান্ত কিশোর অর্থাৎ পিকে

কলকাতা: চলতি বছরেই ভারতের পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোট। তারপরেই ২০২৪ সালের আগামী লোকসভা নির্বাচন।

কে হতে পারেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী? এই নিয়ে যখন ভারতজুড়ে গুঞ্জন চলছে, তখনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর অর্থাৎ পিকের মন্তব্যে অস্বস্তিতে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল। যে পিকের হাত ধরে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে মমতা, বিজেপিকে ধরাশায়ী করলো। সেই পিকের মুখে অন্য প্রবচন।

মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) ভারতীয় একটি টিভি চ্যানেলে এক সাক্ষাৎকারে পিকে বলেছেন, বিজেপিকে হারানো অসম্ভব, এমনটা নয়। কিন্তু বর্তমানে যেসব বিরোধী দল এবং রাজনৈতিক জোট হচ্ছে, তাদের দ্বারা সেই কাজ সম্ভব হবে না। তার মতে, বিজেপিকে হারাতে হলে বিরোধী দলগুলির সামাজিক ভিত আরও প্রসারিত করা প্রয়োজন।

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীর অন্যতম দাবিদার মমতা, এমনটাই মনে করে তার দল তৃণমুল। সেই পরিকল্পনায় গোটা ভারতে ক্ষমতা বিস্তার করতে চাইছে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল। সেই সময় পিকের এই মন্তব্যে রাজনীতির জগতে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। অবশ্য এর আগেও পশ্চিমবঙ্গে একুশের ভোটের ফল ঘোষণার পরবর্তীতে এক সাক্ষাৎকারে পিকে বলেছিলেন, মোদি থাকুন বা না থাকুন, বিজেপি ভারতীয় রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে থেকে যাবে। তখনও তার মন্তব্যকে ঘিরে মমতার দলে যথেষ্ট বিতর্ক তৈরি হয়েছিল।

মঙ্গলবার চ্যানেলটি, সাক্ষাৎকারের মধ্যে পিকের কাছে জানতে চায়, ২০২৪-এ বিজেপিকে কী হারানো সম্ভব?  উত্তরে পিকে বলেন, অবশ্যই সম্ভব। কিন্তু এখন নেতা, দল এবং তাদের যা জোট রয়েছে, তারা সম্ভবত পারবে না বিজেপিকে হটাতে!

তবে, ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করা সম্ভব বলেই মনে করেন পিকে। তার মতে, বিজেপিকে হারানোর জন্য যিনি বা যারাই চেষ্টা করছেন, তাদের অন্তত পাঁচ থেকে ১০ বছরের কাজ ও চিন্তা-ভাবনা থাকতে হবে। অর্থাৎ, যারাই প্রধানমন্ত্রীর মুখ বলে দাবি করছেন তাদের শুধু মোদি বিরোধী মনভাব দেখালে চলবে না। ক্ষমতায় এলে ভারতবাসীর জন্য কী কী করতে চান তা স্পষ্ট করতে বলতে হবে।

পিকের বক্তব্য, মমতার তৃণমূল কংগ্রেস, সোনিয়ার কংগ্রেস কিংবা অন্য দলগুলো যদি নিজেদের গুছিয়ে না নিয়ে ময়দানে নামে, তাহলে সর্বশক্তি দিয়েও লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে না। পিকের মতে, এই মুহূর্তে যেসব বিরোধী শক্তি রয়েছে, তারা ইগো ভুলে আরও কাছাকাছি আসতে হবে।

কেনো পিকের কথাকে গুরুত্ব দেয় ভারতের রাজনৈতিক মহল? ২০১৯ এ ভারতের লোকসভা ভোটে একদিকে যখন মোদি দ্বিতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হলেন, তখন ওই ভোটে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল প্রায় লণ্ডভণ্ড। পিকে আসার পর গোষ্ঠীকোন্দল হলেও দল গোছাতে সুবিধা হয় মমতার। তার ফলস্বরূপ একুশের ফল। এছাড় দিল্লি দখল করেত মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দলকে টেনে তুলেছেন এই পিকে। বিহার রাজ্যে নীতিশ কুমারের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হওয়া পেছনেও বড় অবদান পিকের। এমনকী গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর পথ প্রশস্ত করতে পিকেরই সহযোগিতা লেগেছিল মোদিরও।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২১
ভিএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।