ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

ভারত

ভারতে করোনাকালে সংসার চালাতে ঋণ নিয়েছে ৪১ শতাংশ মানুষ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০২০
ভারতে করোনাকালে সংসার চালাতে ঋণ নিয়েছে ৪১ শতাংশ মানুষ

কলকাতা: ভারতে করোনাকালে ৪১ শতাংশ মানুষ ঋণ করে সংসার চালিয়েছেন বলে এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে। পরিস্থিতি এতটাই শোচনীয় ছিল যে, পরিবারের সদস্যদের জন্য যেটুকু না হলেই নয়, সেটুকুর জন্যও অপরের কাছে হাত পাততে হয়েছে অনেককেই।

কলকাতাসহ দেশটির সাতটি শহরের মধ্যে এই সমীক্ষা চালায় হোম ক্রেডিট ইন্ডিয়া। তবে ছয়টি শহরের মধ্যে অনেকটাই ভালো স্থানে রয়েছে কলকাতা। চলতি বছরের গোটা এপ্রিল ও মে মাসে দেশজুড়ে চলেছে লকডাউন। অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে যায়। জুন থেকে ধীরে ধীরে শিথিল হয়েছে লকডাউন। ততদিনে বহু মানুষ জীবিকা হারিয়েছেন। টান পড়ে তাদের আয়-রোজগারে। দ্রব্যমূল্য যেভাবে বেড়েছে, তাতে সংসার চালাতে দিশাহারা হয়ে পড়েনে লাখো মানুষ।

বাধ্য হয়ে পরিবারের সদস্যদের ক্ষুধা নিবারণ করতে ঋণ করা ছাড়া উপায় ছিল না অনেকেরই। সমীক্ষায় ২৭ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, অর্থের অভাবে ব্যাংকের মাসিক ঋণ শোধ দেওয়া যাচ্ছিল না। তা মেটাতে নতুন করে ঋণ করতে হয়েছে। ১৪ শতাংশের দাবি, তারা জীবিকা খুইয়েছেন। তাই ঋণ করা ছাড়া কোনো পথ খোলা ছিল না তাদের। এদের মধ্যে প্রতি চারজনে একজন, বন্ধু বা পরিচিতদের থেকে ঋণ নিয়েছেন।

সমীক্ষা বলছে এ ব্যাপারে এগিয়ে রয়েছেন পুরুষরাই। মহিলারা ধার করার ক্ষেত্রে মূলত নির্ভর করেছেন বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ওপর।

তবে পরিচিতদের থেকে ঋণ নিলেও, তা পরিশোধের ব্যাপারে কোনো পরিকল্পনা নেই প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষের। তাদের দাবি, নতুন চাকরি অথবা হাতে যথেষ্ট পরিমাণ নগদ অর্থ এলে পরিশোধ করবেন ঋণের টাকা।

সমীক্ষা অনুযায়ী, ঋণের নিরিখে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে আছে মুম্বাই ও ভোপাল। তারপর আছে পাটনা ও দিল্লি। জয়পুর ও হায়দ্রাবাদ রয়েছে পঞ্চম ও ষষ্ঠস্থানে। একদম শেষে কলকাতা। শহর কলকাতায় মাত্র ১২ শতাংশ মানুষ ধার করে সংসার চালিয়েছেন।

অবশ্য করোনার আগে অর্থাৎ গত বছর আগস্ট মাসে এমনই একটি সমীক্ষা হয়েছিল ভারতে। সেখানে দেখা গিয়েছিল, ৩৩ শতাংশ মানুষ ঋণ করেছিলেন। তবে তা অন্নের সংস্থান করতে নয়। ঋণের ভার মাথা পেতে নিয়েছেন ল্যাপটপ, বড় মাপের টিভি কিংবা দামি স্মার্টফোন কেনার জন্য।

কিন্তু বছর ঘুরতেই বদলে গিয়েছে চিত্র। ঋণ নিয়েছেন, তবে তা সাধ মেটানোর জন্য নয়, দুই বেলা দুই মুঠো ভাতের জন্য।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০২০
ভিএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।