ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ভারত

পশ্চিমবঙ্গে করোনায় অধিকাংশ মৃত্যুর কারণ পূর্বরোগ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৮ ঘণ্টা, জুন ৯, ২০২০
পশ্চিমবঙ্গে করোনায় অধিকাংশ মৃত্যুর কারণ পূর্বরোগ

কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪০৫ জনের। এর মধ্যে ২৬৬টি মৃত্যুর ক্ষেত্রেই রোগীর শরীরে পূর্বরোগ বা ক্রনিক অসুখ গভীরভাবে ছিল। বাকি ১৩৯ জনের মৃত্যু ঘটেছে শুধু কোভিড-১৯ ভাইরাসের কারণে। মৃতদের মধ্যে অর্ধেকের বেশিই কলকাতাবাসী। তারপরই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা এবং হাওড়া জেলা।

রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর জানিয়েছে, পুরুষদের ক্ষেত্রে করোনা মৃত্যুতে সবচেয়ে বেশি যে অসুখ অনুঘটকের ভূমিকা নিয়েছে সেটি হলো হাইপ্রেশার। ২৭ শতাংশ মানুষ হাইপ্রেশার ছিল এবং ১৯ শতাংশ রোগীর মৃত্যুর পিছনে ছিল সুগার।

নারীদের ক্ষেত্রে এই হার যথাক্রমে ২৯ শতাংশ এবং ২০ শতাংশ। অর্থাৎ তাদের শরীরে করোনা বাসা বাঁধলেও প্রেশার এবং সুগার তাদের মৃত্যু তরান্বিত করে।

এছাড়া রাজ্যর নিরিখে করোনার কারণে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ৭৫ ঊর্ধ্ব মানুষদের। শতকরা হিসাবে ২১ দশমিক ৭ শতাংশ। তারপরই ১৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ রয়েছে ৬০ থেকে ৭৫ বছরের বয়সী। তবে ৩০ থেকে ৪৫ এবং ১৬ থেকে ৩০ এই দুই বয়সসীমার রাজ্যে করোনা মৃত্যু অনেক কম। মাত্র শূন্য দশমিক ১৭ শতাংশ এবং ১ দশমিক ৬৭ শতাংশ।

রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের বুলেটিন মতে, করোনায় মৃত্যুর অন্যতম কারণ প্রেশার, সুগার, হার্টের অসুখ, কিডনির অসুখ, শ্বাসকষ্টের সমস্যা, ক্যানসার এবং ডায়ালিসিসের মতো অসুখ।

প্রেশারের সমস্যা সবচেয়ে বেশি ছিল ৬১ থেকে ৭৫ বছর বয়সী মানুষের মধ্যে। সুগার ও হার্টের অসুখের ক্ষেত্রেও ওই একই বয়সসীমার মানুষজন করোনার শিকার হয়েছেন।

অন্যদিকে, কিডনির অসুখ করোনায় মৃত্যুতে অনুঘটকের কাজ করছে ৪৬ থেকে ৬০ এবং ৬১ থেকে ৭৫ বছর বয়সী মানুষদের মধ্যে। শ্বাসকষ্টের অসুখের ক্ষেত্রে ৪৬ থেকে ৬০, ৬১ থেকে ৭৫ এবং ৭৫ ঊর্ধ্ব এই তিন ধরনের মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

বুলেটিনে জানানো হয়েছে, রাজ্যে মঙ্গলবার পর্যন্ত ৪৪টি কেন্দ্রে করোনা পরীক্ষা হয়েছে। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষ কলকাতার বাসিন্দা। তারপরই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং হাওড়া জেলা।

রাজ্যে করোনা আক্রান্তদের এদিন নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ৪২৬ জন। সব মিলিয়ে করোনা সংক্রমণের সংখ্যাটা ৮ হাজার ৬১৪। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে নয়জনের। সবমিলিয়ে পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে মৃত্যু হয়েছে ৪০৫ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৪৬৫ জন।

বাংলাদেশ সময়: ২২০৫ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০২০
ভিএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।