ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

চলে গেলেন ‘অমলকান্তি’র স্রষ্টা নীরেন্দ্রনাথ 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৮
চলে গেলেন ‘অমলকান্তি’র স্রষ্টা নীরেন্দ্রনাথ  কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। ফাইল ফটো

ঢাকা: বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয় কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী মারা গেছেন। মঙ্গলবার (২৫ ডিসেম্বর) বেলা ১২টা ২৫ মিনিটে দক্ষিণ কলকাতার মুকুন্দপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৯৪।

কবির পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, বেশ কিছু দিন ধরেই নীরেন্দ্রনাথ বার্ধক্যজনিত অসুখে ভুগছিলেন। সম্প্রতি তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়।

পরে ক’দিন আগে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানান, সোমবার সকালে কবির হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাক হয়। এরপর মঙ্গলবার দুপুরে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।  

কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিমতলা শ্মশানে কবির শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। এর আগে কবির মরদেহে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর রবীন্দ্র সদনে নেওয়া হবে।

১৯২৪ সালের ১৯ অক্টোবর অবিভক্ত বাংলার ফরিদপুরে জন্ম নেওয়া কবি নীরেন্দ্রনাথের প্রাথমিক পড়াশোনা সেখানকার পাঠশালায়। পরে ১৯৩০ সালে পরিবারের সঙ্গে চলে যান কলকাতায়।  

কলকাতার মিত্র ইনস্টিটিউশন, বঙ্গবাসী এবং সেন্ট পলস কলেজে পড়াশোনা করেছেন তিনি। এরপর ১৯৫১ সালে যোগ দেন আনন্দবাজার পত্রিকায়। দীর্ঘ সময় তিনি ‘আনন্দমেলা’ পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন।  

কবিতা ছাড়াও নীরেন্দ্রনাথ ছড়াকার, প্রাবন্ধিক, ঔপন্যাসিক, গদ্যকার, গোয়েন্দা-গল্পকার, শিশুসাহিত্যিক, ভ্রমণ-কাহিনী লেখক, সম্পাদক এবং বানান বিশারদও ছিলেন তিনি।  

১৯৫৪ সালে ৩০ বছর বয়সে তার প্রথম কবিতার বই ‘নীল নির্জন’ প্রকাশিত হয়। এরপর একে একে প্রকাশ পায় ‘অন্ধকার বারান্দা’, ‘নিরক্ত করবী’, ‘নক্ষত্র জয়ের জন্য’, ‘আজ সকালে’... অজস্র কবিতার বই।  

তার লেখা কবিতা ‘অমলকান্তি রোদ্দুর হতে চেয়েছিল...’ বা ‘রাজা তোর কাপড় কোথায়...’ বাঙালির কাছে রীতিমতো প্রবাদে পরিণত হয়েছে। এখনও পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের পাঠকদের কাছে সমান জনপ্রিয় কবিতা দুটি।  

এদিকে কবির মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মততা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর প্রয়াণে আমি শোকাহত। এটা আমাদের সকলের জন্য একটি বড় ক্ষতি। বাংলা সাহিত্যে ওনার অসামান্য অবদান ওনাকে চিরস্মরণীয় করে রাখবে। ২০১৭ সালে ওনাকে আমরা বঙ্গ বিভূষণ সম্মানে ভূষিত করেছিলাম। ওনার পরিবারকে আমার সমবেদনা জানাই। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৮
এমএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।