ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

ভারত

‘অাপনা গো তো ভাই-ব্রাদার অাছে, অামরা খাবো কী?’

ভাস্কর সরদার, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০১৬
‘অাপনা গো তো ভাই-ব্রাদার অাছে, অামরা খাবো কী?’

৫০০ এবং ১ হাজার রুপির নোট নিয়ে সকাল থেকে সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশি ও কলকাতায় বসবাসরত বাঙালিরা।

কলকাতা: ৫০০ এবং ১ হাজার রুপির নোট নিয়ে সকাল থেকে সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশি ও কলকাতায় বসবাসরত বাঙালিরা।

বুধবার (৯ অক্টোবর) কলকাতার বাইপাস সংলগ্ন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হাসপাতালে বাংলাদেশি রোগীর পরিবারগুলো কাছ থেকে ৫০০ ও হাজার রুপি নোট নিতে অস্বীকার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

বাজারে প্রচলিত ৫০০ এবং ১০০০ রুপির নোট বাতিল ঘোষণার পর নতুন ৫০০ ও ২০০০ রুপির নোট বাজারে ছাড়ছে ভারত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) জাতির উদ্দেশে দেওয়া বিশেষ ভাষণে এমন কথা জানার পরপরই কলকাতায় এই সমস্যা দেখা দেয়।

হাসপাতাল সংলগ্ন একাধিক হোটেল এবং গেস্ট হাউজ একইভাবে ৫০০ এবং ১০০০ রুপির নোট নিতে চাইছে না। এমন খবরের ভিত্তিতে বাঙলানিউজ সরেজমিনে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পায়।

বাংলাদেশর চট্টগ্রাম থেকে আসা মুহম্মদ ফজরুল হক বলেন, রোগীর জন্য অন্তত পক্ষে চারটি ওষুধের দোকান ঘুরে ওষুধ কিনতে পারেননি। কারণ কোন দোকান ৫০০ এবং ১০০০ রুপির নোট নিতে চাইছে না।

ঝিনাইদহ থেকে আসা শাহিন রহমান বলেন, অামার বড় অাপুর অাগামীকাল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হাসপাতালে অপারেশন হবে। রুপি জমা দিতে বলেছে। কিন্তু ৫০০ এবং ১০০০ রুপি নোটের মাধ্যমে নিতে আপত্তি জানাচ্ছে। এখন কী করবো? টাকা জমা দিতে না পারলে অপারেশন তো হবে না।

সমস্যয় পড়েছেন চট্টগ্রাম থেকে আসা আব্দুল হান্নান। তিনি বলেন, ‘তিন বছর ধরে কলকাতায় চিকিৎসা করাতে অাসছি। এ রকম সমস্যায় কোনোদিন পরিনি। গতকালই টাকা এক্সচেঞ্জ করি, হাতে সব বড় রুপি। না পারছি কিছু খেতে, না পারছি কোথাও যেতে। অাপনা গো তো ভাই-ব্রাদার অাছে, অামরা খাবো কী?’

এদিকে, এ সমস্যা বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। যতদূর সম্ভব সহযোগিতা করা হবে।

জনগণের এমন ভোগান্তির কথা কলকাতার উপ-হাইকমিশনে জানানো হলে তারা জানায়, রুপির সমস্যা দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যপার। এ বিষয়ে তারা নিরুপায়। তবে কোনো বাংলাদেশি যদি সমস্যায় পড়েন, তবে মানবিকতার দিক থেকে নিশ্চয়ই সাহায্য করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০১৬
ভিএস/টিআই

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।