ঢাকা, শনিবার, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৭ মে ২০২৫, ১৯ জিলকদ ১৪৪৬

ভারত

তিস্তার পর এবার ফারাক্কা বাঁধ প্রকল্পের ওপর সামরিক মহড়া দিল ভারত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭:৩১, মে ১৭, ২০২৫
তিস্তার পর এবার ফারাক্কা বাঁধ প্রকল্পের ওপর সামরিক মহড়া দিল ভারত

কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের ফারাক্কা বাঁধ প্রকল্প সংলগ্ন এলাকায় মকড্রিল করল ভারতীয় সেনাবাহিনী। শুক্রবার (১৬ মে) রাজ্যটির মুর্শিদাবাদ জেলার ফারাক্কা বাঁধ প্রকল্প সংলগ্ন সেতু এবং রেললাইনসহ একাধিক এলাকাগুলোয় মকড্রিল বা কৃত্রিম মহড়া করে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ), সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স (সিআইএসএফ), রাজ্য পুলিশ, গোয়েন্দা বিভাগ, ফারাক্কা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ও স্বাস্থ্যকর্মীদের একটা বড় টিম।

মূলত: রাজ্যটির উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে স্থলপথে যোগাযোগের একমাত্র পথ ফারাক্কা ব্যারেজ সংলগ্ন সেতু ও রেললাইন। সেই ফারাক্কা বাঁধ প্রকল্পের ব্যারেজে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে, নিরাপত্তা কর্মী থেকে সাধারণ মানুষের কী করণীয় তা এদিনের মকড্রিলে উঠে আসে।

এমনিতেই কড়া নিরাপত্তা বলয়ে থাকে ফারাক্কা ব্যারেজ। নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী, সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ)।

এ বিষয়ে ফারাক্কা ব্যারেজের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিআইএসএফ কমান্ডেন্ট মুকেশ কুমার জানিয়েছেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ, আমাদের প্রত্যেকটি নিরাপত্তা এজেন্সিকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। কেবলমাত্র সীমান্তেই বিপদ নয়, দেশের ভেতরেও বিপদ লুকিয়ে রয়েছে। এই ফারাক্কা ব্যারেজ দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের মধ্যে সংযোগ রক্ষা করেছে। এখানে কোন কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে সেটা আমাদের পক্ষে খুবই ক্ষতিকারক। তাই কোনোরকম ঘটনা ঘটলে, যৌথভাবে কী করতে হবে, মাল্টি এজেন্সি দ্বারা আজকে এই মকড্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখানে আমাদের খামতিগুলো দেখে নিয়ে তার সংশোধন করা হলো।

কদিন আগে, জলপাইগুড়ি জেলার বাগরাকোটে তিস্তা ফায়ারিং রেঞ্জে ভারতীয় সেনাবাহিনী বিভিন্ন অস্ত্রের মহড়া দেয়। যার নাম দেওয়া হয় ‘তিস্তা প্রহার’৷ তিস্তা নদীর তীরে সেনাবাহিনীর ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জের সদস্যরা ছাড়াও স্পেশাল ফোর্স সেই মহড়ায় অংশ নিয়েছিল। গত ১৫ মে সেই ভিডিও প্রকাশ করে ভারতীয় সেনাবাহিনী ৷ যুদ্ধক্ষেত্রে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনী কীভাবে অস্ত্রের ব্যবহার করবে, সেটাই মূলত ঝালিয়ে নেওয়া হয়েছিল ‘তিস্তা প্রহার’-এ । মর্টার থেকে শেল ফাটানো, কখনও বা হেলিকপ্টার থেকে ফায়ারিং ৷ আবার কখনও ড্রোনের ব্যবহার কীভাবে করতে হবে, তা দেখানো হয়েছিল।

ফারাক্কায় সেই অর্থে বৃহৎভাবে না হলেও যথেষ্ট বড় টিম নিয়ে মকড্রিল করেছে। এমনিতে সাধারণ মানুষের কাছে ফারাক্কা ব্যারাজ অতি স্পর্শকাতর এলাকা। সেক্ষেত্রে শুধু সীমান্তে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা নয়, দেশের অভ্যন্তরেও বিপদের আশঙ্কা রয়েছে। সেই অপ্রীতিকর ঘটনার মোকাবিলায় ফারাক্কায় এই সামরিক মহড়া বলে জানা গেছে।

আরও পড়ুন>>‘চিকেনস নেক’-এর কাছে ভারতের সামরিক মহড়া ‘তিস্তা প্রহার’

ভিএস/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।