ঢাকা, রবিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

ভারত

‘বাংলাদেশে প্রশংসনীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে এক দশকে’

মিজানুর রহমান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৪
‘বাংলাদেশে প্রশংসনীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে এক দশকে’ ...

দিল্লি থেকে: বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশের সম্পর্ক সৌহার্দ্যপূর্ণ। এ সম্পর্কের শুরু ৫০ বছর আগে।

মুক্তিযুদ্ধে ভারত সরকারের কূটনৈতিক-মানবিক সহায়তা ছিল। ভারতের সব নাগরিক অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়েছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় দুই দেশের সুসম্পর্ক অব্যাহতভাবে অধিকমাত্রায় সুদৃঢ় হচ্ছে।  

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ ইয়ুথ ডেলিগটসদের সঙ্গে ভারতের মিনিস্ট্রি অব এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্সের কর্মকর্তাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে বক্তারা এসব কথা বলেন।

মিনিস্ট্রি অব এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্সের স্পেশাল সেক্রেটারি পি কুমার বলেন, গত এক দশকে বাংলাদেশের প্রশংসনীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন হয়েছে। যা দেশের নাগরিকদের পূর্ণ সম্ভাবনা বাস্তবায়নের সুযোগ তৈরি করেছে। ভৌগোলিক সুবিধা ও বাংলাদেশের চমৎকার অর্থনৈতিক সাফল্য সমগ্র উপ-অঞ্চল ও বিশ্বকে উপকৃত করতে পারে। বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার যে সেতুবন্ধন নির্মিত হয়েছে তা অত্যন্ত সুদৃঢ়। নিরাপত্তা, জ্বালানি ও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যেও দুই দেশ একে অপরের সহযোগী।  

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভারতের মিনিস্ট্রি অব ইয়ুথ অ্যাফেয়ার্সের জয়েন সেক্রেটারি নিতেশ মিশরা, বাংলাদেশে ভারতীয় হাই কমিশনের সমন্বয়ক (গণমাধ্যম ও সংস্কৃতি) শান্তনু মুখার্জি।

এর আগে সকালে দিল্লিতে বাংলাদেশ ইয়ুথ ডেলিগেশনের সদস্যদের সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন ভারতের সাবেক জাতীয় শ্যুটার রঞ্জন সোডি। মেজর ধ্যানচাঁন ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ইয়ুথ আফেয়ার্স অ্যান্ড স্পোর্টস মিনিস্ট্রির উদ্যোগে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় রঞ্জন সোডি বলেন, আপনি যখন নিজেকে বিশ্বাস করবেন, তখন আপনি সব কিছু করতে পারবেন। হারলে কখনো লজ্জা পাওয়া যাবে না। না হারলে জয়কে উদযাপন করতে পারবেন না। সুতরাং একাগ্রতা এবং পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজেকে তৈরি করতে হবে।

২০১০ সালে এশিয়ান গেমস ও আইএসএসএফ ওয়ার্ল্ড কাপে স্বর্ণজয়ী এ শ্যুটার পেয়েছেন জাতীয় পর্যায়ের বেশ কয়েকটি পুরস্কার। মতবিনিময় সভায়  নিজের খেলোয়াড়ি জীবনের সাফল্য ও সংগ্রামের গল্প শোনালেন তিনি। বলেন, একজন খেলোয়াড় জেতার চেয়ে বেশিরভাগ সময় হারে। সাফল্য পেতে হলে অবশ্যই বেশি বেশি অনুশীলন করতে হবে। তা ছাড়া নিজের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে। যেকোনো সাফল্যের পেছনে পরিশ্রমের পাশাপাশি আত্মবিশ্বাস বেশ উপকার করে। আমাদের সবার স্বপ্ন আছে। নিজের এ স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে হলে অবশ্যই লেগে থাকতে হবে এবং বিশ্বাস করতে হবে আপনি আপনার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারবেন।

বাংলাদেশের শ্যুটিংয়ের উন্নয়নের কী করা উচিত প্রতিনিধি দলের এক সদস্যের এমন প্রশ্নে রঞ্জন সোডি বলেন, ভারতের সঙ্গে কোলাবরেটর করে শ্যুটিং টুর্নামেন্ট আয়োজন করা যেতে পারে। দুই দেশের মধ্যে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। আশা করবো ভবিষ্যতে এমন আয়োজন করবে।

এ সময় ইয়ুথ আফেয়ার্স অ্যান্ড স্পোর্টস মিনিস্ট্রির ডেপুটি সেক্রেটারি আরএন সন্দ্বীপ উপস্থিত ছিলেন।


বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৪
এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।