ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

ভারত

৩৯৫০ টনের মধ্যে ভারত পেয়েছে ৫৬০ টন ইলিশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২৩
৩৯৫০ টনের মধ্যে ভারত পেয়েছে ৫৬০ টন ইলিশ কলকাতার একটি বাজারে পদ্মার ইলিশ দেখাচ্ছেন এক বিক্রেতা। ছবি: সংগৃহীত

কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশি ইলিশের কদর অনেক। পদ্মা-মেঘনার ইলিশের স্বাদ নিতে মুখিয়ে থাকেন কলকাতাবাসী।

সারাবছর না মিললেও দুর্গাপূজায় কলকাতার বাসিন্দারা স্বাদ নিতে পারেন বাংলাদেশের ইলিশের।

গত কয়েক বছরের মতো এবারও দুর্গাপূজা উপলক্ষে কলকাতায় রপ্তানি হয়েছে বাংলাদেশের ইলিশ। তবে এবার ধাপে ধাপে ৩৯৫০ টন রফতানি করার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত ভারত পেয়েছে মাত্র ৫৬০ টন ইলিশ।

এ তথ্য জানিয়ে কলকাতার ফিশ ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক আনোয়ার মাকসুদ বলেন, এবার কথা ছিল ৩ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন ইলিশের। কিন্তু সব মিলিয়ে মাত্র ৫৬০ মেট্রিক টন। এটা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্য। এখন দেখার বিষয়, ২ নভেম্বরের পর পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ইলিশ আমরা পাচ্ছি কি না! 

বিষয়টি নিয়ে কলকাতার বাংলাদেশ উপদূতাবাসে চিঠিও দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

আনোয়ার মাকসুদের প্রশ্ন, বছরে ৬ -৭ লাখ মেট্রিক টন ইলিশ আহরণ হয় বাংলাদেশে। সেখানে পশ্চিমবঙ্গ মাত্র ৪-৫ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ চাইছে। এটা কি খুব বড় চাহিদা?  দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে বহু পণ্য আমদানি -রপ্তানি হয়। তার সঙ্গে বছরে না হয় ৩-৪ হাজার টন ইলিশ যুক্ত হবে। এতে আমি কোথাও সমস্যা দেখছি না। এতে বরং দুই বাংলার সম্পর্কে আরও ভালো হবে।

তবে এবার এতো কম পরিমাণ ইলিশ এলেও যে কলকাতায় তেমন ক্রেতা পাওয়া যায়নি তা স্বীকার করলেন আনোয়ার মাকসুদ। এজন্য বেশি দামকেই দুষলেন তিনি।

বললেন, আমাদের পাইকারি বাজারে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৫, ১৬,১৭শ’ রুপি করে। এই দামে যদি পাইকারি বাজারে বিক্রি হয় তবে খুচরা বাজারে কত দামে বিক্রি হবে? যে কারণে দাম বেশি পড়েছে। বাংলাদেশের ইলিশের চাহিদা তো আছে। কিন্তু এত দাম দিয়ে সাধারণ মানুষ মাছ খাবেও না, কিনবেও না। সে কারণে খুব একটা কাটেনি বাংলাদেশের ইলিশ।

জানা গেছে, বাংলাদেশের ইলিশ কলকাতার খুচরা বাজারে বিক্রি হয়েছে ১৮শ’ থেকে ২ হাজার রুপি কেজিতে। কোথাও ছাড়িয়ে গেছে ২২শ থেকে ২৫শ রুপি। ফলে দাম এবারে সাধারণেরর নাগালের বাইরে যাওয়ায় প্রায় একপ্রকার মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছে প্রতিবেশীর ইলিশ থেকে।

খুচরা মাছ ব্যবসায়ী চন্দন বলেন, মাছ বাজারে কাটেনি। বরফ দিয়ে রাখতে গিয়ে লাভের গুড় পিঁপড়া খেয়েছে। কেনা দামটুকুও তুলতে পারিনি। পরের বার ভাববো বাংলাদেশের ইলিশ আর তুলব কিনা। এভাবে ব্যবসা হয় না।  

তবে ইলিশ আরও আসতে থাকলে দাম কমে যেত বলে দাবি ফিশ ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদকের।  

তিনি বলেন, আমরা ভেবেছিলাম লোকসান পুষিয়ে নিতে পারব। পরে জানলাম, মাছ আসাই বন্ধ হয়ে যাবে। সে কারণে পরের বার বাংলাদেশের ইলিশ তুলতে গেলে দশবার ভাববো।

তবে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এটা আমাদের ব্যবসা। তাই ধৈর্য ধরে থাকতে হবে। আমরা আশাবাদী, আগামী বছর সব হয়ত ঠিক হবে। আমরা সব বিষয় নিয়ে কলকাতার বাংলাদেশ উপদূতাবাসকে জানিয়েছি। আমরা চাইছি অন্যান্য পণ্যের মতো ব্যবসায়িকভাবে ভারতে ইলিশ আসুক। শুধু পূজা উপলক্ষে নয়।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২৩
ভিএস/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।