ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

ভারত

বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সীমান্তে ৫০৯ অত্যাধুনিক বিওপি বানাবে ভারত 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২৩
বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সীমান্তে ৫০৯ অত্যাধুনিক বিওপি বানাবে ভারত 

কলকাতা: প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান সীমান্তে মোট ৫০৯টি অত্যাধুনিক বিওপি (কম্পোজিট বর্ডার আউটপোস্ট ) নির্মাণ করতে চলেছে ভারত।  

এদের মধ্যে ৩৮৩টি হবে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে এবং বাকি ১২৬টি বিপিও নির্মিত হবে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে।

 

বলা হচ্ছে, দুই সীমান্তে কম্পোজিট বিওপিগুলো তৈরি হলে প্রহরারত ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী, বিএসএফের জন্য খুবই সহায়ক হবে।  

উল্লেখ্য, ৪ হাজার ৯৬.৭ কিলোমিটার বিস্তৃত ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এবং ৩ হাজার ৩২৩ কিলোমিটার বিস্তৃত ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত।

আন্তর্জাতিক সীমান্তে এতোগুলো অত্যাধুনিক বিওপি নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যেই সম্মতি জানিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।  

আবাসন নির্মাণ, লজিস্টিক সহায়তা এবং আধুনিক যন্ত্রপাতিসহ অপারেশনাল সক্ষমতা বাড়াতে পরিকাঠামো প্রদান করা হবে।  

গত সপ্তাহে প্রকাশিত দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনে এই পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।  

সেখানে বলা হয়েছে, ভারত সরকার ৫০৯টি কম্পোজিট বিওপি, ভারত-বাংলাদেশ এবং ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত বরাবর নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।  

প্রতি কম্পোজিট বিওপিতে বিএসএফ সদস্যদের জন্য থাকবে - বিশ্রামের স্থান, রান্নাঘর, ডাইনিং হল, গ্যারেজ, একটি জেনারেটর রুম,  টয়লেট ব্লক, একটি প্রশাসনিক ব্লক, একটি ওয়্যারলেস রুম, একটি অস্ত্রাগার এবং যেকোনো আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য ছয়টি সিমেন্টের বাঙ্কার ও চিকিৎসা পরিষেবা।

ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, এই কম্পোজিট বিওপি নির্মাণ একদিকে যেমন বিএসএফের সদস্যদের ভালো কাজের পরিবেশ তৈরিতে সহায়তা করবে। অন্যদিকে, সংশ্লিষ্ট এলাকায় বাহিনীর আধিপত্যকে শক্তিশালী করবে। কারণ, সুযোগ-সুবিধা এবং অবকাঠামোর দিক থেকে একটি সাধারণ বিওপির থেকে কম্পোজিট বিওপি হবে সম্পূর্ণ আলাদা।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ২০২২-২৩ সালের বার্ষিক রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের যে ৪০৯৬ দশমিক ৭ কিলোমিটার স্থল সীমান্ত রয়েছে, তারমধ্যে পশ্চিমবঙ্গ (২২১৬.৭ কি.মি.), ত্রিপুরা (৮৫৬ কি.মি), মেঘালয় (৪৪৩ কি.মি), মিজোরাম (৩১৮ কি.মি.) এবং আসাম (২৬৩ কি.মি.) স্পর্শ করেছে।  

দুর্গম পার্বত্য অঞ্চল এবং ঘন জঙ্গল ও নদীতে ঘেরা এই বিস্তীর্ণ সীমান্ত দিয়ে চোরা চালান, মাদক পাচারসহ সীমান্ত নাশকতার বহু অভিযোগ আসে। সব মিলিয়ে সীমান্ত এলাকায় বর্তমানে ১ হাজার ৯৬টি বিওপি রয়েছে।

অন্যদিকে, ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে মোট ৭৩৬টি বিওপি স্থাপনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে ৬৭৫টি বিওপি নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। ৩১টি বিওপির কাজ চলমান রয়েছে। ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে এর কাজ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাকি ৩০টি বিওপির জন্য বিকল্প জমির অনুসন্ধান করা হচ্ছে।

পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের ৩ হাজার ৩৩২ কিলোমিটার স্থল সীমান্ত রয়েছে। এই সীমান্তের সঙ্গে রয়েছে ভারতের গুজরাট, রাজস্থান, পাঞ্জাব, জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখের মত কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। সীমান্তে সন্ত্রাসীদের অনুপ্রবেশ এবং অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং মাদক চোরাচালানের দ্বারা চিহ্নিত করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২৩
ভিএস/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।