ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আগরতলা

সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আগরতলায় উৎসব অনুষ্ঠিত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০২১
সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আগরতলায় উৎসব অনুষ্ঠিত মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের হাতে মশাল। ছবি: বাংলানিউজ

আগরতলা, (ত্রিপুরা): বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনী বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিল। এই যুদ্ধে পাকিস্তানকে হারিয়ে নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশ গঠন করার সাফল্যকে ভারতীয় সেনাবাহিনী বিজয় উৎসব হিসেবে উদযাপন করে।

এবছর এই বিজয় উৎসবের সুবর্ণজয়ন্তী। এ উপলক্ষে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী বিশেষ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

সশস্ত্র বাহিনীর তরফে বিজয় মশাল যাত্রা সূচনা করা হয়েছে জাতীয় রাজধানী দিল্লি থেকে। চারটি মশাল ইতোমধ্যে রওনা হয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এবং একটি মশাল আগরতলা এসে পৌঁছেছে।

শনিবার (৬ নভেম্বর) ত্রিপুরার রাজ্যপাল সত্য দেব নারায়ণ আর্য এই মশালের আগরতলায় যাত্রার আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন। এরপর মশালটি নিয়ে আসা হয় রাজধানীর রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে। এখানে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী এবং জনগণের মধ্যে সম্প্রীতি উৎসব উদযাপিত হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, সেনাবাহিনী ব্রিগেইডিয়ার দীনেশ চৌধুরী, কর্নেল অমতেন্দ্র প্রতাপ সিং, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ত্রিপুরা ফ্রন্টিয়ার্সের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজি) সুশান্ত নাথ।

রাজ্যপালের হাত ধরে যে, মশাল যাত্রা শুরু হয়। পরে তিনি অনুষ্ঠান মঞ্চে এসে সেনা জওয়ান উপমন্ত্রীসহ অন্যান্য অতিথিদের হাতে সেটি তুলে দেন।

এদিন অনুষ্ঠান মঞ্চে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতীয় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বায়ুসেনায় কর্মরত ত্রিপুরা রাজ্যের কর্মকর্তা যারা ওই সময় বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তাদের স্ত্রীকে এদিন মঞ্চে ডেকে সম্মাননা দেওয়া হয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক হানাদার বাহিনীদের হাতে প্রথম শহীদ ঝাড়খণ্ড রাজ্যের বাসিন্দা ভারতীয় জওয়ান ল্যান্স নায়েক অ্যালবার্ট এক্কাকেও মরণোত্তর সম্মাননা জানানো হয়। এদিন এক্কার ছেলে ভিন্সেন্ট এক্কা এই সম্মাননা গ্রহণ করেন। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব ঘোষণা দেন এক্কার পরিবারকে ত্রিপুরা সরকারের তরফে এক লাখ রুপি সম্মাননা হিসেবে দেওয়া হবে।

অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সাল ত্রিপুরা ও বাংলাদেশবাসীর জন্য এক ঐতিহাসিক সময়। এই সময় ভারত এবং ত্রিপুরাবাসী বাংলাদেশের মানুষকে কাছে টেনে নিয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনীর হয়ে কাজ করার সময় বীর জওয়ান এলবার্ট এক্কা শহীদ হন।

এই সেনা জওয়ান ও তার পরিবারকে রাজ্যবাসীর তরফে ধন্যবাদ জানান মুখ্যমন্ত্রী।  

সবশেষে বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী এবং সেনাবাহিনীর তরফের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০২১
এসসিএন/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।