ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আগরতলা

ত্রিপুরায় বেগুনি আম অরনিকা-অম্বিকা চাষের উদ্যোগ

সুদীপ চন্দ্র নাথ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০২১
ত্রিপুরায় বেগুনি আম অরনিকা-অম্বিকা চাষের উদ্যোগ

আগরতলা (ত্রিপুরা): দেশ-বিদেশে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে বেগুনি রঙের অরুনিকা এবং অম্বিকা প্রজাতির আমের। রাজ্যের আবহাওয়াও এই আম চাষের উপযোগি।

তাই ত্রিপুরা রাজ্যে ব্যাপকভাবে এই আম চাষের জন্য কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের উদ্যান এবং ভূমি সংরক্ষণ অধিদপ্তর চাষিদের উৎসাহিত করছে।

আগরতলার পার্শ্ববর্তী নাগিছড়া এলাকার উদ্যান ও ভূমি সংরক্ষণ ডিরেক্টরেটের বাগিচা ও ফল গবেষণা কেন্দ্রে অন্যান্য ফলের পাশাপাশি দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রজাতির আমের পরিক্ষামূলক ভাবে চাষ করা হয়। মূলত নতুন প্রজাতির আম রাজ্যে বাণিজ্যিকভাবে চাষের উপযোগি কিনা তা দেখা হয়। যদি নতুন প্রজাতির আম বাণিজ্যিক ভাবে চাষের উপযুক্ত বলে প্রমাণিত হয় তখন তা চাষের জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয় বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন এই কেন্দ্রের প্রধান ডেপুটি ডিরেক্টর রাজীব ঘোষ।  

ইতোমধ্যে বেশ কিছু নতুন প্রজাতির আম চাষে সফলতা এসেছে আর কিছু প্রজাতির আম চাষে সফলতা আসবে বলেও জানান তিনি। তবে ত্রিপুরা রাজ্যের আবহাওয়ার জন্য প্রচুর দেশীয় প্রজাতির আম রয়েছে। রাজ্যে প্রথম সঙ্কর প্রজাতির আম হচ্ছে আম্রপালি। দশেরি এবং নিলম এই দু’টি প্রজাতির আম গাছের মধ্যে সঙ্কর করে তৈরি করা হয়েছে। রাজ্যে আম্রপালি প্রতি হেক্টর জমিতে ৪০০ গাছ লাগানো যায় এবং প্রতি গাছে বছরে ৩০০টি থেকে ৩৫০টি আম ধরে। এরপর যে আম চাষ বাণিজ্যিক ভাবে সফল হয়েছে সেটি হল মল্লিকা। এটি আম্রপালির তুলনায় কিছু বড় আকারের হয়। এই দুই প্রজাতির আমের বাণিজ্যিক সফলতার জন্য ত্রিপুরা রাজ্যে বিপুল পরিমাণে এই দুই প্রজাতির আম চাষ হচ্ছে।  

এর পরবর্তী অরুনিকা ও অম্বিকা। এই দুটি প্রজাতির খুব সুন্দর। এগুলোর উপরিভাগ অর্থাৎ বাকল বেগুনী রঙের হয় তাই এগুলোর রঙ দেখে মানুষ চাষের জন্য আকৃষ্ট হয়। বাণিজ্যিকভাবে চাষের পাশাপাশি অনেকেই বাড়িতে আম গাছ লাগাচ্ছেন। এই দু’টি প্রজাতির পার্থক্য বলতে শুধু আকারগত, স্বাদ এবং রঙ একই রকমের হয়ে থাকে। রপ্তানির জন্য এই আম খুব ভাল, কারণ বিদেশে এর চাহিদা খুব বেশি। এই সব গুণাবলীর জন্য রাজ্যে এই দু’টি প্রজাতির আম চাষের উৎসাহ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলেও জানান তিনি।  

তিনি আরও বলেন এই দু’টি প্রজাতির আম মৌসুমের কিছুটা শেষের দিকে ফলন হয়। তাই বাজার থেকে অন্যান্য আম যখন শেষ হয়ে যায় তখন এই দু’টি প্রজাতির আম বাজারে আসে। এর ফলে চাষিরা তুলনামূলকভাবে বেশি দামে আম বিক্রি করতে পারেন।  

এই সব কারণে উদ্যান এবং ভূমি সংরক্ষণ অধিদপ্তর রাজ্যের চাষিদের মধ্যে অরুনিকা এবং অম্বিকা প্রজাতির আমের চারা বিতরণ করে কৃষকদের আয় বাড়ানোর চেষ্টা করছে বলেও জানিয়েছে ড রাজীব ঘোষ।

বাংলাদেশ সময়: ০৮১৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০২১
এসসিএন/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।