ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আগরতলা

বাংলাদেশে চা রপ্তানি করা গেলে লাভ ত্রিপুরার: সন্তুষ সাহা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০২১
বাংলাদেশে চা রপ্তানি করা গেলে লাভ ত্রিপুরার: সন্তুষ সাহা ত্রিপুরার একটি চা বাগান/ ছবি: বাংলানিউজ

আগরতলা (ত্রিপুরা): বর্তমানে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা থেকে আমদানি করে তাদের নিত্য দিনের চায়ের চাহিদা মেটায়। ত্রিপুরা থেকে যদি বাংলাদেশে চা পাতা রপ্তানি শুরু হয় তাহলে ত্রিপুরার পাশাপাশি বাংলাদেশও আর্থিকভাবে লাভবান হবে।

 

শনিবার (২৪ এপ্রিল) আগরতলার পার্শ্ববর্তী দুর্গাবাড়ী চা প্রক্রিয়া করণ কেন্দ্রে অত্যাধুনিক প্যাকেজিং মেশিনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনে গিয়ে এই অভিমত ব্যক্ত করেন ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান সন্তুষ সাহা।

ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগমের তথা টিটিডিসির দুর্গাবাড়ী চা প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রের উৎপাদন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। উৎপাদনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কম সময়ে বেশি পরিমাণ প্রক্রিয়্জাত চা পাতা প্যাকেটিং করার জন্য টি টি ডি সি ১২ লাখ রুপি খরচ করে দুটি অত্যাধুনিক প্যাকেজিং মেশিন বসিয়েছে। এই মেশিনগুলো প্রতি ঘণ্টায় ১০০ গ্রাম ওজনের ৩০ হাজারটি চা পাতার প্যাকেট করতে পারবে।  

মেশিনের সুইচ টিপে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন টিটিডিসির চেয়ারম্যান সন্তুষ সাহা।

এছাড়াও এসময় উপস্থিত ছিলেন নিগমের বোর্ড অব ডিরেক্টর গোপাল চক্রবর্তী, সমীর ঘোষ, নিগমের এম ডি মানিক লাল দাসসহ অন্যান্যরা।

উদ্বোধনের পর সন্তুষ সাহা বলেন, প্যাকেজিং মেশিন না থাকায় ন্যায্যমূল্যের দোকানে চাহিদামতো পর্যাপ্ত চা পাতা সরবরাহ করা যাচ্ছিলো না। এখন এই সমস্যার সমাধান হয়েছে। আগে দুর্গাবাড়ী চা প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রের বাৎসরিক উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ১ লাখ ৭২ হাজার কেজি। ধীরে ধীরে এর উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ২০২০ সালে দুর্গাবাড়ী চা প্রক্রিয়া করণ কেন্দ্রে চা উৎপাদিত হয়েছে ৪ লাখ ৪৪ হাজার কেজি। পাশাপাশি ব্রহ্মকুন্ড চা প্রক্রিয়া করণ কেন্দ্রে ২ লাখ ৮৮ হাজার কেজি চা পাতা উৎপাদিত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ত্রিপুরায় উৎপাদিত চা অন্যরাজ্যসহ বাংলাদেশে রপ্তানির জন্য মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব ভারত সরকারের সঙ্গে কথা বলছেন। খুব দ্রুত বাংলাদেশেও ত্রিপুরার চা রপ্তানি করা সম্ভব হবে। ত্রিপুরার চায়ের কদর এখন বাড়ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০২১
এসসিএন/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।