ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

আগরতলা

আগরতলায় মুখ্যমন্ত্রী স্বনির্ভর যোজনা মেগা শিবিরের উদ্বোধন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০২০
আগরতলায় মুখ্যমন্ত্রী স্বনির্ভর যোজনা মেগা শিবিরের উদ্বোধন মেগা শিবিরের উদ্বোধন করছেন ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। ছবি: বাংলানিউজ

আগরতলা (ত্রিপুরা): ত্রিপুরার আগরতলার নেতাজি সুভাষ বিদ্যানিকেতনে মুখ্যমন্ত্রী স্বনির্ভর যোজনা মেগা শিবিরের উদ্বোধন হয়েছে।   শনিবার (৩ অক্টোবর) এই মেগা শিবিরের উদ্বোধন করেন ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুরো নিগমের পুরো পারিষদ রত্না দত্ত, ত্রিপুরা সরকারের শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যসহ অন্যান্যরা। মঞ্চে উপস্থিত অতিথিরা প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শিবিরের সূচনা করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, স্বনির্ভরতা একটি জাতি, রাজ্য ও দেশকে স্বাভিমান করে তোলে। ব্যবসার মাধ্যমেও আসে স্বনির্ভরতা। ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া সরকারি কোনো সুবিধা পাওয়া যায় না। আগে রাজ্যে দোকানের জমির মালিক না হলে ট্রেড লাইসেন্স দেওয়া হতো না আর ট্রেড লাইসেন্স না হলে দোকানের বিমা করা সম্ভব নয়। দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যে এই নিয়ম চলে আসছিলো কিন্তু বর্তমান সরকার এই নীতির সরলীকরণ করেছে। এখন ব্যবসায়ীরা জমির মালিক না হলেও ট্রেড লাইসেন্স পাবে এবং এর ভিত্তিতে দোকানের বিমা এমন কি ব্যাংক থেকে ঋণও পাবে।  

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, রাজ্যের জনগণ তাকে কাজ করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাই তিনি জনগণের জন্য যথাসাধ্য কাজ করে যাচ্ছেন এবং মানুষ তার উপকার পাচ্ছেন। আর কিছুদিনের মধ্যে ত্রিপুরা উত্তরপূর্ব ভারতের অন্নদাতা হবে। এর কারণ হচ্ছে আগে উত্তরপূর্ব ভারতে পণ্য আসতো হলদিয়া বন্দর ব্যবহার করে কিন্তু এখন বাংলাদেশের সহায়তায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে ত্রিপুরাসহ সমগ্র উত্তরপূর্ব ভারতে পণ্য সামগ্রী আসবে। ফলে ভারতসহ বাংলাদেশ আর্থিক ভাবে উপকৃত হবে। ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উত্তরপূর্ব ভারতকে স্বনির্ভর করতে চাইছেন, তার জন্য নানা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। করোনা মহামারির মধ্যেও ত্রিপুরা সরকার মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।  

এ দিনের স্বনির্ভর যোজনা হাতে নেওয়া হয়েছে এর ফলে তরুণ-তরুণীদের মধ্যে স্বনির্ভর হওয়ার মানসিকতা তৈরি হবে বলেও জানান।  
 
এই শিবিরে মূলত প্রদর্শন করা হচ্ছে বেকার তরুণ-তরুণীরা কিভাবে বিভিন্ন স্বনির্ভর যোজনার মাধ্যমে নিজে স্বনির্ভর হতে পারেন পাশাপাশি অন্যের জন্য কর্ম সংস্থানের সৃষ্টি করতে পারেন। এই শিবিরে বিভিন্ন ব্যাংকের শাখা থেকে শুরু করে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের তরফে স্টল খোলা হয়েছে। স্টলে উপস্থিত কর্মকর্তারা শিবিরে আসা তরুণ-তরুণীদের বোঝাচ্ছেন স্বনির্ভর হওয়ার ছোটখাটো কারখানা থেকে শুরু করে ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে, এর জন্য কি করতে হবে। সরকারি সহায়তা পেতে হলে কি করতে হবে, কোন কোন সংস্থা থেকে অনুমোদনপত্র নিতে হবে, সব ধরনের তথ্য বিভিন্ন স্টলের মাধ্যমে সরকারি এবং আধা-সরকারি সংস্থার কর্মকর্তারা তুলে ধরেছেন।

মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবসহ উপস্থিত অতিথিরা স্টলগুলি ঘুরে দেখেন সেসঙ্গে নানা তথ্য জেনে নেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০২০
এসসিএন/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।