ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আগরতলা

ত্রিপুরার পর্যটনকেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়া হবে ১ অক্টোবর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২০
ত্রিপুরার পর্যটনকেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়া হবে ১ অক্টোবর ত্রিপুরার পর্যটনকেন্দ্র/ ছবি: বাংলানিউজ

আগরতলা (ত্রিপুরা): ত্রিপুরা রাজ্যের সব পর্যটন কেন্দ্র পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে ১ অক্টোবর থেকে। পাশাপাশি ত্রিপুরা রাজ্যের পর্যটন দপ্তর প্রথম বারের মতো অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজমের অন্যতম একটি অংশ ওয়াটার স্কুটার চালু করছে।

রাজ্যের অন্যতম বড় এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর ডুম্বুর হ্রদে চালু করা হবে এই ওয়াটার স্কুটার। সেই সঙ্গে দেশ-বিদেশের পর্যটকদের যাতায়াতের সুবিধার কথা চিন্তা করে ডুম্বুর লেকের মধ্যে থাকা টিলাভূমিতে স্থাপন করা হবে হ্যালিপেড।

রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) বাংলানিউজকে এসব কথা জানিয়েছেন ত্রিপুরা সরকারের পর্যটন দপ্তরের মন্ত্রী প্রণজীৎ সিংহ রায়।

তিনি বলেন, রাজ্যে বিজেপি-আইপিএফটি সরকার ক্ষমতায় আসার পর সরকার পর্যটন ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ায় প্রতি বছর দেশ বিদেশের পর্যটক আসার সংখ্যা ১৯ শতাংশ করে বৃদ্ধি পেয়েছিল। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে গত কয়েক মাস ধরে ত্রিপুরা রাজ্যের সব পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ রয়েছে। অবশেষে ভারত সরকারের নির্দেশ ত্রিপুরা রাজ্যের সব পর্যটন কেন্দ্র পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে।

‘করোনার কারণে গত কয়েক মাস ত্রিপুরা রাজ্যের পর্যটন কেন্দ্রগুলো পর্যটকদের জন্য বন্ধ করে রাখা হলেও দপ্তর পুরোদমে কাজ চালিয়ে গেছে। বিশেষ করে পর্যটকদের থাকার জন্য যে সব লজ রয়েছে এগুলোর পরিকাঠামো উন্নত করা হয়েছে। যেন দেশ-বিদেশ থেকে ত্রিপুরা রাজ্যের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থানগুলো ঘুরে দেখতে আসা পর্যটকরা বিভিন্ন টুরিস্ট লজে আরও ভালোভাবে রাত্রি যাপন করতে পারেন। ’

আগামী দিনে আরও বেশকিছু নতুন জিনিস পর্যটন শিল্পে যুক্ত করা হচ্ছে বলেও এদিন জানিয়েছেন পর্যটন দপ্তরের মন্ত্রী। তিনি বলেন, ছবিমুড়া পর্যটন কেন্দ্রটি আরও সুন্দরভাবে দেখার জন্য নতুন ও আধুনিক সুবিধা যুক্ত নৌকা চালু করা হচ্ছে, নীরমহলসহ অন্যান্য যেসব পর্যটন কেন্দ্র দেখার জন্য পানির মধ্য দিয়ে যেতে হয় এগুলোতে ভাসমান জেটি স্থাপন করা হয়েছে। গোমতী জেলার ত্রিপুরা সুন্দরী মন্দির প্রাঙ্গণ থেকে শুরু করে ১১ শতকে নির্মিত গোমতী নদীর পাড়ের ছবিমুড়া এলাকা পর্যন্ত কেবল কার স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ত্রিপুরা রাজ্যের প্রায় ৮০ শতাংশ এলাকা জুড়ে রয়েছে বাংলাদেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমান্ত, একটা বড় অংশের পর্যটক আন্তর্জাতিক সীমান্ত দেখার বিষয়ে আগ্রহী। তাদের কথা চিন্তা করে সীমান্ত পর্যটন এবং ত্রিপুরা রাজ্যের ঘন সবুজ বনের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য রাজ্যের প্রতিটি বড় পাহাড়ে যে পার্ক রয়েছে এগুলোকে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২০
এসসিএন/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।