ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

আগরতলা

ত্রিপুরাকে দুধে স্বয়ংসম্পূর্ণ করা হবে: রতন লাল নাথ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪০৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০২০
ত্রিপুরাকে দুধে স্বয়ংসম্পূর্ণ করা হবে: রতন লাল নাথ .

আগরতলা (ত্রিপুরা): ত্রিপুরা সরকার রাজ্যের দুধের চাহিদা মেটানোর জন্য দীর্ঘমেয়াদী একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। বর্তমানে বছরে ত্রিপুরা রাজ্যে দুধের চাহিদা ২ লাখ ৩৪ হাজার ৩শ' ৫০ মেট্রিক টন এবং রাজ্যে দুধের বার্ষিক উৎপাদন হয় ১ লাখ ৯৭ হাজার ২শ' ৭০ মেট্রিক টন।

 

ঘাটতি কাটিয়ে রাজ্যের চাহিদা পূরণ করার জন্য বর্হি:রাজ্য থেকে প্রতিবছর দুধ আমদানি করতে হয় ৩৭ হাজার ৮০ মেট্রিক টন। তাই ত্রিপুরা সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যে দুধ উৎপাদনের পরিমাণ বৃদ্ধি করার। এজন্য ত্রিপুরা সরকার তিন বছর মেয়াদী একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।  

শুক্রবার (২৩ জুলাই) সন্ধ্যায় মহাকরণে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন শিক্ষা দফতরের মন্ত্রী তথা মন্ত্রী সভার মুখপাত্র রতন লাল নাথ। তিনি আরো জানান, এখন রাজ্যের বেশির ভাগ গো প্রজনন করানো হয় কনভেনশনাল সিম্যান দিয়ে কৃত্রিম প্রজনন পদ্ধতিতে। এই পদ্ধতিতে প্রজননের ফলে গরু যে বাচ্চা দেয় এরমধ্যে মাত্র ৪০ শতাংশ বাছুর হয় মেয়ে, বাকি বাছুর গুলি পুরুষ হয়ে থাকে। তাই এবছর থেকে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেক্স সটেড সিম্যান ফর আর্টিফিশিয়াল ইনসিমিনেশন'র মাধ্যমে গাভীর প্রজননের।  

২০২০ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত এ পদ্ধতিতে গাভীর প্রজনন করা হবে। এই পদ্ধতির সুবিধা হচ্ছে ৯০ শতাংশ বাছুর হবে স্ত্রী। ভারতের কেরল, হরিয়ানা, উড়িষ্যা, মহারাষ্ট্র ইত্যাদি রাজ্যে এই পদ্ধতিতে গাভীর প্রজনন করা হচ্ছে তাই দুধের উৎপাদন অনেক বেশি হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।

এর জন্য মোট খরচ হবে ১৩ কোটি ১০ লাখ ৪০ হাজার রুপি। মোট খরচের ৯০ শতাংশ অর্থায়ন করবে ভারত সরকার এবং ১০ শতাংশ অর্থ দেবে ত্রিপুরা রাজ্য সরকার।  

২০২০-২১ অর্থ বছরে ৭৮ হাজার গাভীকে এই পদ্ধতিতে প্রজনন করানো লক্ষ্য মাত্রার নেওয়া হয়েছে। ২১-২২ অর্থ বছরে ৪৬ হাজার ৮শ' গাভীকে এবং ২২-২৩ অর্থ বছরে ৩১ হাজার ২শ' গাভীকে প্রজনন করানো লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে এই ৩ বছরে মোট ১ লাখ ৫৬ হাজার গাভীকে এ পদ্ধতিতে প্রজনন করানো লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।  

এই পদ্ধতিকে কার্যকর করার জন্য ইতিমধ্যে ভারত সরকার ৪ কোটি ২৪ লাখ ৫৩ হাজার রুপি পাঠিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকারকে। এই পদ্ধতিতে প্রজননের জন্য প্রতি গাভী পিছু খরচ হবে ৫শ' ১৯ রুপি। যে সকল গোপালক নিজের গাভীকে এই পদ্ধতিতে প্রজনন করাবেন, তাদেরকে গাভী প্রতি মাত্র ৫০ রুপি দিতে হবে এবং বাকি অর্থ দেবে সরকার বলেও জানান মন্ত্রী।

বাংলাদেশ সময়: ০৪০৭ ঘণ্টা, জুলাই, ২০২০
এসসিএন/জেআইএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।