ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

আগরতলা

‘নির্দেশিকা মেনে ত্রিপুরায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৫ ঘণ্টা, মে ৩, ২০২০
‘নির্দেশিকা মেনে ত্রিপুরায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে’

আগরতলা (ত্রিপুরা): ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে আগামী ৪ মে থেকে ১৭ মে পর্যন্ত চলবে দেশব্যাপী তৃতীয় দফায় লকডাউন। এক্ষেত্রে করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকারের জোন বিন্যাসে ত্রিপুরা গ্রিন জোনে রয়েছে। তাই ৪ মে থেকে বড় মার্কেট কমপ্লেস ছাড়া অন্য দোকানিদের ক্ষেত্রে মিলছে ছাড়। ভারত সরকারের নীতি নির্দেশিকা মেনে রাস্তায় নামার অনুমতি পাচ্ছে অন্য যানবাহনও।

রাজ্যবাসীর উদ্দেশে এক ভিডিও বার্তায় এ কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। তিনি বলেন, দোকানি ও ক্রেতাদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক হচ্ছে।

দোকানিরা ইচ্ছে করলে মাস্ক বিক্রিও করতে পারেন। কোনো ক্রেতা মাস্ক না পরে দোকানে এলে তার কাছে পণ্য বিক্রি না করার পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বাজার কমিটির প্রতি আহ্বান রাখেন এ বিষয়টি নজরদারি করতে। প্রয়োজনে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করতেও বলেন। পাশাপাশি মাস্ক না পরে কেউ জনবহুল স্থানে এলে সরকারিভাবে জরিমানা করার বিষয়েও অবগত করেন বিপ্লব কুমার দেব।
যানবাহনের ক্ষেত্রে অন্য গাড়িগুলোতে ৫০ শতাংশ হারে যাত্রী পরিবহনের নির্দেশ জারি করা হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।

অটো, টমটম ও প্রাইভেটকারের চালকসহ পেছনে সর্বমোট দুইজন বসার অনুমতি মিলছে বলেও বিপ্লব কুমার দেব ভিডিও বার্তায় উল্লেখ করেন।

বহিঃরাজ্যে আটকে পড়া ত্রিপুরা রাজ্যের নাগরিকদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তাদের সুরক্ষিতভাবে রাজ্যে ফিরিয়ে আনতে সরকার যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। অযথা রাজ্যে ফিরে আসার ব্যাপারে অস্থির না হওয়ার আবেদন রাখেন।  

এ বিষয়ে বিপ্লব কুমার দেব বলেন, কয়টি করোনা পজিটিভ কেস এসেছে সবার ক্ষেত্রেই রয়েছে ট্রেভেলিং হিস্ট্রি। বহিঃরাজ্য থেকে যারাই ত্রিপুরায় আসবেন, সবার ক্ষেত্রেই যাবতীয় সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করছে সরকার। সম্প্রতি উদয়পুরে চেন্নাইফেরত যাত্রীদের অ্যাম্বুলেন্স চালকের সংক্রমণ ও আমবাসা বিএসএফ ক্যাম্পের দুই জোয়ানের মধ্যে করোনা সংক্রমণ পাওয়ার প্রসঙ্গ টেনে তিনি সবাইকে আরও বেশি সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন।  
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যারা বহিঃরাজ্য থেকে ধাপে ধাপে ফিরে আসবে তাদের কোভিড-১৯ পরীক্ষা করার পর ছাড়া হবে। একই রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বহিঃরাজ্য থেকে আসা পণ্যবাহী লরির চালকদের ক্ষেত্রেও।

পঞ্চায়েত সেক্রেটারিদের উদ্দেশে বিপ্লব কুমার দেব বলেন,  কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের সমস্ত সুযোগ-সুবিধা প্রকৃত সুবিধাভোগীদের কাছে পৌঁছেছে কিনা তা নিশ্চিত করতে হবে। উজ্জ্বলা যোজনা ২ লাখ ৭৫ হাজার ভোক্তাদের কাছে তিন মাসে তিনটি গ্যাস সিলিন্ডার পৌঁছে দেবার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট গ্যাস এজেন্সিকে উদ্যোগ নিতে বলেন তিনি।  
 
শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজ শুরু হচ্ছে রাজ্যের ছোট ইন্ডাস্ট্রিগুলোতেও। আগামী দিনে কীভাবে উৎপাদন দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ পর্যন্ত বাড়ানো যায়, সেই চিন্তা ধারা নিয়ে কাজ করার আহ্বান রাখেন মুখ্যমন্ত্রী।  

তিনি বলেন, সাবরুমে লজস্ট্রিক হাবের কাজ শুরু হচ্ছে। চীন থেকে ভারতের দিকে ফিরছে শিল্পোদ্যোগীরা। ভারত সরকারের সহায়তায় এ সুযোগটা ত্রিপুরা কাজে লাগাতে চায়।
করোনা প্রতিরোধে বয়স্ক ও শিশুদের প্রতি সবাইকে আরও যত্নবান থাকার পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কবার্তার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, মে মাসের মাঝামাঝি থেকে করোনার প্রকোপ বাড়তে পারে। তাই সবাইকে অপ্রয়োজনে বাইরে না বেরোনোর পরামর্শ দেন। শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে চলার আহ্বান রেখ এদিনও করোনা প্রতিরোধে ত্রিপুরাবাসীর সাহায্য কামনা করেন বিপ্লব কুমার দেব।

বাংলাদেশ সময়: ১১২৩ ঘণ্টা, মে ০২, ২০২০
এসসিএন/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।