ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আগরতলা

মহালয়া তিথিতে ত্রিপুরায় পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে তর্পণ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৯
মহালয়া তিথিতে ত্রিপুরায় পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে তর্পণ

আগরতলা (ত্রিপুরা): হিন্দু শাস্ত্র মতে শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) থেকে পিতৃপক্ষের শেষ এবং দেবী পক্ষের সূচনা। এদিন দেবী দুর্গা তার চার সন্তানকে নিয়ে স্বামী দেবাদিদেব মহাদেবের গৃহ কৈলাস থেকে মর্ত্যে বাপের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। 

এদিন ধর্মপ্রাণ হিন্দু অংশের মানুষ তাদের মৃত পূর্বপুরুষের উদ্দেশ্যে তর্পণ করেন। সকাল থেকেই আগরতলার উজ্জয়ন্ত প্রাসাদ সংলগ্ন লক্ষ্মী-নারায়ণ বাড়ির দিঘিতে মানুষের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

এরা সবাই পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে তিল, জল দিয়ে তর্পণ করেন।  

তর্পণের কাজ করার ফাঁকে কল্যাণব্রত চক্রবর্তী নামে এক পুরোহিত বাংলানিউজকে বলেন, শাস্ত্র মতে মহালয়ার পুণ্য তিথিতে মৃত পূর্বপুরুষের উদ্দেশ্যে তর্পণ করলে তাদের আত্মা শান্তি লাভ করেন। এ রীতি যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। এদিন তর্পণকারীরা দিঘিতে কোমর পরিমাণ পানিতে দাঁড়িয়ে মন্ত্র উচ্চারণ করে ফুল, বেলপাতা, তিলসহ অন্য সামগ্রী দিয়ে পূর্বপুরুষের আত্মার শান্তি কামনা করেন।  

রাজন্য আমল থেকে এ দিঘিতে তর্পণের কাজ চলে আসছে। তাই এখনও প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ দূর-দূরান্ত থেকে ঐতিহ্যবাহী এ দিঘিতে তর্পণ করতে আসেন।  

তর্পণ করতে আসা সুমন সরকার বলেন, যে বছর তার বাবার মৃত্যু হয়েছে, তার পরের বছর থেকে তিনি এখানে তর্পণ করে আসছেন।  

তিনি আরও বলেন, এটা আসলে মনের শান্তির জন্য। মৃত্যুর পর কিছু আছে কি-না তা তো আমরা কেউ জানি না। তারপরও পূর্বপুরুষরা এ কাজ করে আসছেন, তাই পরম্পরা অনুসারে তিনিও প্রতিবছর তর্পণ করছেন।

পুরুষদের পাশাপাশি এখানে নারীদেরও পূর্বপুরুষের উদ্দেশ্যে তর্পণ করতে দেখা গেছে। তর্পণ করা ছাড়াও এ দৃশ্য দেখতে প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমান রাজন্য স্মৃতি বিজোড়িত লক্ষ্মী-নারায়ণ বাড়ির মন্দিরের দিঘিতে।  

রাজধানীর লক্ষ্মী-নারায়ণ বাড়ির দিঘি ছাড়াও রাজ্যের অন্য জায়গার নদী, পুকুরসহ বড় জলাশয়ে এদিন মানুষ তর্পণ করে থাকেন।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৯
এসসিএন/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।