ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

আগরতলা

বিলোনিয়া থেকে সাব্রুমে ট্রেনের ইঞ্জিন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৭ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৯
বিলোনিয়া থেকে সাব্রুমে ট্রেনের ইঞ্জিন সাব্রুম স্টেশনে পৌঁছালো ট্রেনের ইঞ্জিন। ছবি: বাংলানিউজ

আগরতলা (ত্রিপুরা): ত্রিপুরার দক্ষিণ জেলার বিলোনিয়া রেলওয়ে স্টেশন থেকে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী সাব্রুম স্টেশনে অবশেষে পৌঁছলো ট্রেনের ইঞ্জিন।

সোমবার (২৪ জুন) স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টায় ইঞ্জিনটি সাব্রুম স্টেশনে পৌঁছায়।

উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার রাকেশ কুমার সংবাদ সম্মেলনে জানান, ত্রিপুরার বিলোনিয়া রেলওয়ে স্টেশন থেকে সাব্রুম স্টেশন পর্যন্ত রেলপথের দূরত্ব ৩৯ দশমিক ১০ কিলোমিটার।

এ পথে ট্রেন লাইনের কাজ শেষ হওয়ার পর রেলওয়ের নিয়ম মেনে প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রলি চালিয়ে রেললাইনে কোনো ত্রুটি রয়েছে কিনা তা দেখেন প্রকৌশলীরা। পরে প্রকৌশলীদের অনুমতি পাওয়ার পর ট্রেনের ইঞ্জিন চালানো হয়। ইঞ্জিন পৌঁছানোর পর পাথর নিয়ে পৌঁছাবে মালবাহী ট্রেন। পরীক্ষামূলক এ ট্রেন চলাচলের পর রেলওয়ের সেফটি কমিশনের (সিআরএস) অনুমোদন পেলে খুব শিগগিরই শুরু হবে বিলোনিয়া রেলওয়ে স্টেশন থেকে সাব্রুম স্টেশন পর্যন্ত যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল।

রাকেশ কুমার আরো জানান, আগরতলা থেকে সাব্রুম  স্টেশন পর্যন্ত রেল লাইনের দৈর্ঘ্য ১১৪ দশমিক ২ কিলোমিটার। এর মধ্যে বিলোনিয়া পর্যন্ত ৭৫ কিলোমিটার রাস্তা আগেই নির্মাণ হয়েছে। সাব্রুম স্টেশন থেকে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরের দূরত্ব মাত্র ৭৬ কিলোমিটার। আর চট্টগ্রাম বন্দরকে কেন্দ্র করেই ত্রিপুরাকে উত্তরপূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বার করার যে পরিকল্পনা করছে বর্তমান ভারত সরকার।  সাধারণ পথচারী ও ট্রেন চালকদের কথা চিন্তা করে নতুন ভাবনা নিয়ে কাজ করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। আগরতলা থেকে সাব্রুম পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণে একটিও লেভেল ক্রসিং রাখা হয়নি, রোড ওভার ব্রিজ এবং রোড আন্ডার ব্রিজ নির্মাণ করেছেন ৬৪টি। যাতে করে ট্রেনের গতিও ঠিক থাকে, ট্রাফিক জ্যামও লাগবে না এবং সবচেয়ে বড় বিষয় দুর্ঘটনাও হবে না।  বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী রামগড় পর্যন্ত রেলপথ রয়েছে। এ রেলস্টেশনটি চালু হয়ে গেলে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে ত্রিপুরার আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বাড়বে। এর মধ্যে বিলোনিয়া পর্যন্ত ৭৫ কিলোমিটার রাস্তা আগেই নির্মাণ করা হয়েছে। বিলোনিয়া-সাব্রুম রেলপথের মাঝে টানেল নির্মাণ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে রেলওয়ের নির্মাণ সংস্থাকে বাঁধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। ২০১০ সালে রেলপথ নির্মাণের কাজ শুরু হয়ে ২০২০ সালে শেষ হওয়ার কথা ছিল।  

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন কার্যনির্বাহী ইঞ্জিনিয়ার কোটেশ্বর  পানওয়ালা, সিনিয়র কার্যনিবাহী প্রকৌশলী হেমচন্দ্র বোরা প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৬ ঘণ্টা, জুন ২৪, ২০১৯
এসসিএন/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।